মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানার জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের জারি করা রুলের উপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
ওই মামলায় জারি করা রুলের শুনানি শেষে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায়ের এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত এমপি রানার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার ও অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন ও ড. বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ ও আমিনুর রহমান চৌধুরী টিকু।
১৮ জানুয়ারি আমানুর রহমান খান রানার জামিন কেন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
Advertisement
২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের বেঞ্চ রানার জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ (আউট অব লিস্ট) দেন। একই বছরের ২৮ নভেম্বর বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রানার জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছিলেন।
২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এমপি রানার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।
আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আমানুর গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
রানার জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া তা নাকচ করে দেন। নিম্ন আদালতের জামিন খারিজের বিরুদ্ধে রানার পক্ষে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।
Advertisement
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এমপি আমানুর রহমান খান রানাকে প্রধান আসামি করায় তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে জেলা আওয়ামী লীগ। একই অভিযোগে তার তিন ভাইকেও সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এফএইচ/এমএআর/এমএস