নির্বাচন নিয়ে বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শ্রমিক দলের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন।শ্রমিক দলের মহানগর দক্ষিণের কমিটি গঠন নিয়ে বুধবার বিকেলে এ মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় শ্রমিক দলের শতাধিক নেতাকর্মীও আহত হন।কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক মফিদুল ইসলাম মোহন দ্য রিপোর্টকে জানান, সকাল থেকে নয়াপল্টনের কার্যালয়ে মহানগর দক্ষিণের কমিটি গঠন নিয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচনে দুটি প্যানেল অংশ নেয়। একটি প্যানেলের সভাপতি পদে মো. আমির খসরু ও সাধারণ সম্পাদক পদে মাহবুবুল আলম বাদল এবং অপর প্যানেলে সভাপতি পদে মো. সুমন ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক পদে সবুজ মিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।তিনি আরও জানান, বিকেল ৪টার পর ফলাফল ঘোষণা সঙ্গে সঙ্গেই পরাজিত প্যানেল সুমন-সবুজের সমর্থকেরা অতর্কিত আমির খসরু-মাহবুবুল আলমের সমর্থকের উপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে কার্যালয়ের সামনে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এ সময় ইটের আঘাতে কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিয়ার মাথা ফেটে যায়। তাকে পাশের ইসলামী হাসপাতালে নেওয়া হয়। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী।সংঘর্ষের সময় কার্যালয়ের পঞ্চম তলায় অবস্থিত শ্রমিক দলের কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় বলেও জানান তিনি। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।সংঘর্ষের বিষয়ে পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম জানান, বিকেল ৫টার দিকে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে শ্রমিক দলের কমিটিতে পদপ্রাপ্ত ও বঞ্চিতদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের চার-পাঁচজন আহত হন।তিনি আরও জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ ঘটনার পর সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।এদিকে, বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে পলওয়েল সুপার মার্কেটের সামনে পরাজিতপক্ষ শ্রমিক দলের কেন্দ্রেীয় সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নাসিম ও তার স্ত্রীকে বহনকারী সিএনজির উপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ তাদের পল্টন থানায় নিয়ে যায়।
Advertisement