খেলাধুলা

নতুনদের স্তম্ভ তৈরি করে দিচ্ছে মাশরাফি : শান্ত

বছর বিশেক আগের কথা। তখন বাংলাদেশ ছিল আইসিসির সহযোগী সদস্য। খুব কমই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ পেতো। তবে বর্তমান সময়ে এসে অনেক বদলে গেছে বাংলাদেশ। এখন তারা আইসিসির পূর্ণ সদস্য। বছরে ১৫/২০টা ওয়ানডে ম্যাচের পাশাপাশি প্রচুর টেস্ট ম্যাচও খেলছে। তবে এ দিনটার বীজ বপন হয়েছিল আজ থেকে ২০ বছর আগে। আর যাদের হাত ধরে আজকের এই বাংলাদেশ, তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হাসিবুল হোসেন শান্ত।

Advertisement

বাংলাদেশের পেসারদের সংকটের সময় শান্তই ছিলেন দলের একমাত্র ভরসা। প্রয়োজনের সময় ব্রেক থ্রু এনে দেয়ার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতেন তিনি। এমনকি প্রয়োজনে ব্যাট হাতেও জ্বলে উঠতেন এ পেসার। অনেক ম্যাচেই শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিং করে দলকে জিতিয়েছেন তিনি। ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফির ফাইনালে শান্তই নিয়েছিলেন জয়সূচক রানটি। যদিও সেটি ছিল লেগবাই। সেদিনের সে পেসার এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) জুনিয়র দলের নির্বাচক।

নিজে একজন পেসার হওয়ায় জানেন পেসারদের কাজটা কতো কঠিন। বিশেষ করে বাংলাদেশের মাটিতে যেখানে সবসময় উইকেট তৈরি করা হয় স্পিনারদের জন্য। মোস্তাফিজ-তাসকিন-রুবেলদের উত্থানে উচ্ছ্বসিত সাবেক এই পেসার। তবে এর কৃতিত্বটা তিনি দিচ্ছেন বর্তমান বাংলাদেশ দলের সীমিত ওভারের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। বিশেষ করে ওয়ানডে ম্যাচে পেস বোলারদের কীভাবে খেলাতে হয়, তার ভিত্তি মাশরাফিই করে দিচ্ছেন বলে মনে করেন শান্ত।

হাসিবুল হাসান শান্ত ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে বোলিং পার্টনার হিসেবে পেয়েছিলেন মাশরাফিকেই। ২০০৪ সালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে মাশরাফির সঙ্গে বোলিং করেন শান্ত। যদিও ওই ম্যাচে ৬ ওভার করে ৫৩ রান দিয়েছিলেন শান্ত।

Advertisement

জাগো নিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপে শান্ত মাশরাফিকে উচ্ছসিত প্রশংসায় ভাসালেন। বললেন, ‘মাশরাফিকে নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। এক কথায় অসাধারণ। গত এক যুগ ধরেই সে বাংলাদেশের বোলিংয়ের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। তরুণ যারা আছে, তাদের জন্য স্তম্ভ তৈরি করে দিচ্ছে। কীভাবে ওয়ানডেতে বোলিং করতে হয় তা দেখাচ্ছে। অধিনায়ক হিসেবেও সে দলটিকেও দারুণভাবে গুছিয়ে নিয়েছে।’

দুদিন আগে ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দাপটের সঙ্গে জিতেছে বাংলাদেশ। এমন জয়েও দারুণ খুশি শান্ত। বাংলাদেশ যে ক্রিকেটে উত্তরোত্তর উন্নতি করে যাচ্ছে তার প্রমাণ মনে করেন তিনি, ‘অবশ্যই এটা আমাদের অনেক উন্নতির লক্ষণ। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি, তাই এখন বড় ব্যবধানে জিতছি। আমরা যে পারি এটাই তার প্রমাণ। আর অবশ্যই আগের চেয়ে আমাদের দল অনেক ভালো ক্রিকেট খেলছে তিন বিভাগেই। ফিল্ডিং বলেন, বোলিং বলেন আর ব্যাটিং বলেন- এখন আমার মনে হয় এ ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখাই হবে আসল কাজ।’

লঙ্কায় প্রথম ম্যাচ জয়ের পর দারুণ আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। বিশেষ করে দাপটের সঙ্গে জয় পাওয়ার পর সিরিজ জয় ছাপিয়ে হোয়াইটওয়াশে চোখ দিচ্ছেন অনেকেই। তবে শান্ত এতদূর দেখতে রাজি নন। ধীরে ধীরে এগোতে চান তিনি। তাই টাইগারদের সাবধান করে দিয়ে বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা দল যেমনই হোক ওরা ঘরের মাঠে খেলছে। আর ওদের একটা ঐতিহ্য আছে। যেকোনো সময় ঘুরে দাঁড়াতে পারে। পরের দুটো ম্যাচেও যাতে আমরা এ ধারা বজায় রাখতে পারি সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

আরটি/আইএইচএস/পিআর

Advertisement