ভ্রমণ

আনা সাগরের মনমাতানো সৌন্দর্য

জগদ্বিখ্যাত সুফি সাধক খাজা মাঈনুদ্দিন চিশতির (র.) মাজারের কারণে ভারতের রাজস্থান প্রদেশের আজমীর শহরটি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। ভারতবর্ষে ইসলাম ধর্মের প্রচারক খাজা মাঈনুদ্দিন চিশতির (র.) মাজারটি আজমীর রেলওয়ে জংশনের অদূরেই অবস্থিত।

Advertisement

প্রতিদিন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ এসে ভিড় জমান খাজা মাঈনুদ্দিন চিশতির (র.) মাজারে। শুধু খাজা মাঈনুদ্দিন চিশতির (র.) মাজারই নয়, আনা সাগর আর পুশকার শহরের ব্রহ্মা মন্দিরও রাজস্থানকে পর্যটকদের কাছে আরো বেশি দর্শনীয় করে তুলেছে। তবে রাজস্থানের অতিরিক্ত গরমে বিপর্যস্ত পর্যটকরা।

মরু অঞ্চল হিসেবে খ্যাত রাজস্থানের তাপমাত্রা সবসময়ই বেশি থাকে। শনিবারও (২৫ মার্চ) আজমীর শহরের তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অবশ্য রাতে এ তাপমাত্রা কিছুটা কমে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে ঠেকে। তীব্র গরমে প্রায় অতিষ্ঠ পর্যটকদের মনে প্রশান্তি আনে আজমীর শহরের গা ঘেঁষা ‘আনা সাগর’র মনমাতানো সৌন্দর্য।

আজমীর শহরের উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে আনা সাগর সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। আনা সাগরের স্থির আর স্বচ্ছ জলরাশি দেখে মন হারিয়ে যাবে দূর অজানায়। সাগরের চারদিকে পাথরের উঁচু-উঁচু পাহাড় সৌন্দর্যে যেন বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে।

Advertisement

শনিবার (২৫ মার্চ) ভরদুপুরে প্রচণ্ড রোদেও অসংখ্য পর্যটককে আনা সাগরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেখা গেছে। তীব্র গরমকে উপেক্ষা করেই পর্যটকদের কেউ কেউ সাগর তীরে দাঁড়িয়ে ছবি তোলায় আর লেকে বসে খোশ-গল্পে মেতে ছিলেন।

নাগরিক কোলাহল আর ব্যস্ততা ছেড়ে একটু প্রশান্তির জন্যই আনা সাগরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছেন তারা। আনা সাগরের মনমাতানো সৌন্দর্য আর পানিতে নানা প্রজাতির মাছের জলকেলি ও রাজহাঁসের অবাধ বিচরণ তাদেরকে মুগ্ধ করে।

আজমীর রেলওয়ে জংশন থেকে ৫০-৬০ টাকায় টেম্পুতে করে আনা সাগর তীরে যাওয়া যায়। এছাড়া থাকা-খাওয়ার জন্য আজমীর শহরে বেসরকারি হোটেল ছাড়াও রয়েছে রাজস্থান সরকার পরিচালিত কম ভাড়ার ‘হোটেল খাদিম’। অনলাইনে ঘরে বসেই হোটেল খাদিমে রুম বুক করতে পারবেন যেকোনো পর্যটক। এই হোটেলের ভেতরে রয়েছে একটি রেস্টুরেন্ট। এখান থেকে সকালের নাস্তা বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়।

রাজস্থানের আরেকটি দর্শনীয় স্থান হচ্ছে পুশকার শহরের ব্রহ্মা মন্দির। বিশ্ববিখ্যাত এই মন্দিরেও প্রতিদিন অসংখ্য হিন্দু ধর্মাবলম্বী এসে ভিড় জমান। ব্রহ্মা মন্দিরে ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে আগত পর্যটকদের সংখ্যাই বেশি।

Advertisement

এসইউ/জেআইএম