দেশজুড়ে

সিলেটে যেভাবে মারা গেল দুই জঙ্গি

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আস্তানায় অন্তত দুই জঙ্গি মারা পড়েছেন বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। তবে ভেতরে আরও জঙ্গি থাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Advertisement

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আতিয়া ভিলায় রোববার দিনভর অভিযানে চলা প্যারা-কমান্ডো অভিযানের শেষ দিকে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়।

সেনাবাহিনীর সেনা সদর দফতরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন এই দুই জঙ্গি কীভাবে মারা গেছে।

তিনি বলেন, অভিযান চলাকালে ভবনের ভেতরে একটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয় ভেতরে। কিন্তু এই গ্রেনেড জঙ্গিরা কমান্ডোদের দিকে পাল্টা ছুড়ে মারে।

Advertisement

ফখরুল আহসান বলেন, আতিয়া মহলের ওপর তলা থেকে নিচতলায় নেমে আসার পর দুই জঙ্গিকে গুলি করা হয়। এতে এক জঙ্গি তার গায়ে জড়ানো সুইসাইড ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মারা যায়।

অপরজন গুলিবিদ্ধ হয়েই মারা যায়। তবে মরদেহ দুটি ভেতরেই রয়েছে। দুজনই পুরুষ। ভেতরে এক বা একাধিক জঙ্গি রয়েছে, এটা নিশ্চিত। তবে কয়জন পুরুষ বা কয়জন মহিলা আছে, তা নিশ্চিত নয়।

ফখরুল আহসান আরও বলেন, ঘরের বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরক ফিট করে রেখেছে জঙ্গিরা। এতে বুঝা যায়, জঙ্গিরা জানে, কীভাবে নিজেদের আবাসস্থল দুর্গম করে রাখতে হয়।

পুলিশ জানায়, এই অভিযান কখন শেষ হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানে না তারা। লোকালয়ে জঙ্গিদের এমন শক্তিশালী অবস্থান ভাবিয়ে তুলেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। জঙ্গিদের মাইকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানালেও তারা আত্মসমর্পণ করেনি।

Advertisement

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পরিচালক লে. কর্নেল রাশিদুল হাসান জানান, সেনা কমান্ডোরা চেষ্টা করছেন জঙ্গিদের জীবিত অবস্থায় গ্রেফতার করতে।

তিনি বলেন, জঙ্গিরা বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ জমা করেছিল। তারা বিস্ফোরক দিয়ে কমান্ডোদের প্রবেশে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। এ জন্য অপারেশনটি অনেক সতর্কতার সঙ্গে পরিচালনা করতে হচ্ছে।

এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধারণা করা হচ্ছে আতিয়া মহলের নিচতলার বাঙ্কারে ৫-৭ জন জঙ্গি থাকতে পারে। অভিযানে অংশ নেয়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন কর্মকর্তা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার মধ্যরাত থেকে ওই এলাকায় কোনো যানবাহন চালাচল করতে দেয়া হচ্ছে না এবং জনসাধারণের চলাচলও নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে বলে সিলেটের পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া জানিয়েছেন।

শিববাড়ির পাঠানপাড়া এলাকায় পাঁচতলা ওই বাড়ি ঘিরে এ অভিযান শুরু হয় বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে। শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোদের ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ শুরুর পর ওই বাড়ির বিভিন্ন তলা থেকে ৭৮ জনকে উদ্ধার করা হয়।

এএম/আরআইপি