আইন-আদালত

হলি আর্টিসানে হামলা : স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন বড় মিজান

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্বীকারোক্তমূলক জবাবনবন্দি দিয়েছেন নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী চক্রের প্রধান বড় মিজান।

Advertisement

রোববার ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে মিজানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কমকর্তা। পরে ঢাকা মহানগর হাকিম নূরনবী জববানবন্দি রেকর্ড করে মিজানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে বনানীর কাকলী ক্রসিং এলাকায় একটি বাসা থেকে মিজানকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ জানায়, বড় মিজান নব্য জেএমবির চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী শিবগঞ্জ এলাকার প্রধান দায়িত্বশীল। আগে তিনি জুনুদ আল তাওহীদ নামক জঙ্গি সংগঠনের প্রধান সামরিক কমান্ডার ছিলেন। পরবর্তীতে তামিম চৌধুরীর মাধ্যমে নব্য জেএমবিতে যোগ দেন।

Advertisement

পুলিশের দাবি, বড় মিজান নব্য জেএমবির চাঁপাই সীমান্তকেন্দ্রিক অস্ত্র ও গ্রেনেড তৈরির উপকরণ, ডেটোনেটর ও জেল চোরাচালানের একটি চক্র বা সিন্ডিকেট তৈরি করে যারা নব্য জেএমবির প্রায় সব অস্ত্র, ডেটোনেটর ও জেল সরবরাহ করে আসছিলেন। ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর দারুসসালাম থানায় দায়েরকৃত একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

গুলশানে হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেড ও পিস্তল বড় মিজানের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ঢাকায় আনা হয় এবং বসুন্ধরার তানভীর কাদেরীর বাসায় তামিম চৌধুরীর কাছে পৌঁছানো হয় বলে জানায় সিটিটিসি।

গত বছর ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় হামলা চালায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। এ সময় অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন খান নিহত হন। এছাড়া সন্ত্রাসীদের হামলায় তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জন নিহত হন।

পরদিন সকালে যৌথ বাহিনী কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে পাঁচ হামলাকারী নিহত হয়। ওই ঘটনায় নিহত জঙ্গিরা হলেন- মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, নিবরাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও সফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল।

Advertisement

রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনায় গত ৪ জুলাই রাতে গুলশান থানার এসআই রিপন কুমার দাস বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত করছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।

জেএ/বিএ/জেআইএম