সিলেটের জঙ্গি আস্তানা ঘিরে অভিযান ও আস্তানার পাশে বিস্ফোরণের ঘটনা উদ্বেগজনক বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা উদ্বেগজনক। এর সঠিক তদন্ত দরকার। আমরা আগেও বলেছি, আবারও বলছি এখনো সময় আছে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সমস্যার মোকাবেলা করতে হবে।’
বিএনপি এই ঘটনাকে নাটক বলে মনে করে না বলেও উল্লেখ করলেও বিএনপির এই নেতার অভিযোগ আওয়ামী লীগই জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চায় তারা।
স্বাধীনতা দিবসে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
Advertisement
স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন করা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল, এরপর ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালেও তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল। সবশেষ ২০০৮ সাল থেকে তারা এখনো ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু এতবছর পর হঠাৎ করে কেন গণহত্যা দিবস পালন করার উপলব্ধি হলো তাদের?
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এই দিবসটি সবসময় অন্তরে ধারণ করে আসছি। স্মরণ করে এসেছি, পালনও করি। কিন্তু এবার তারা ঘোষণা দিয়ে এই দিবসটি পালন করছে।
গণহত্যা দিবস পালনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে পাকিস্তানের কয়েকটি গণমাধ্যমেও।
‘নো রিজন টু অবজার্ভ বাংলাদেশজ জেনোসাইড ডে’ শিরোনামে দ্য নিউজের নিবন্ধে বলা হয়েছে, ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবস পালিত হয়। ওই দিবসের পাল্টা দিবস হিসেবে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য তারা শীর্ষ দুই কর্মকর্তাকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে এবং জেনেভায় জাতিসংঘ মাববাধিকার কাউন্সিলে পাঠাবে।
Advertisement
‘বাংলাদেশ: আইডিয়া বিহাইন্ড জেনোসাইড ডে’ শিরোনামে পাকিস্তান অবজারভারের নিবন্ধে বলা হয়, ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসকে ভূলুণ্ঠিত করতেই ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সংসদ। এর পেছনে ভারতীয় ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যায়।
এমএম/এনএফ/এমএস