খেলাধুলা

অনেক ঘাম ঝরাতে হয়েছে : তামিম

তার ব্যাট হাসলে বাংলাদেশের স্কোর হয় সমৃদ্ধ। প্রতিপক্ষের সামনে টাইগাররা ছুড়ে দিতে পারে বিশাল লক্ষ্য। রণগিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শনিবার হাসল তামিম ইকবালের ব্যাট। আর তাতে বাংলাদেশও পেল বড় পুঁজি, ৩২৪ রানের। জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার সামনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩২৫ রানের।

Advertisement

রণগিরি ডাম্বুলা স্টেডিয়ামের পরিসংখ্যান বলছিল, এই লক্ষ্য তাড়া করে জয় পাওয়া বড্ড কঠিনই। হয়েছে ঠিক তা-ই। মাশরাফি বিন মর্তুজা, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসানদের তোপে ২৩৪ রানেই অলআউট শ্রীলঙ্কা। আর তাতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৯০ রানের বড় জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।

ম্যাচ সেরা তামিম ইকবাল খেলেছেন ১২৭ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস। ১৪২ বল মোকাবেলা করেছেন। ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১৫টি চার ও একটি ছক্কায়। বলের চেয়ে রান কম; তামিমের নামের সঙ্গে যায় না! ড্যাশিং ওপেনার যে মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবেই পরিচিত।

তবে তামিমের লক্ষ্য ছিল- ধরে খেলবেন। দলকে ভালো একটা পর্যায়ে নিয়ে তারপর খেলবেন হাত খুলে। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরিটা পেয়ে গেলেন। তিন অঙ্কের ফিগারে পৌঁছার পর মারমুখী ভঙ্গিতে খেলেছেন।

Advertisement

তামিম আউট হয়েছেন দলীয় ৪৮তম ওভারে। সুরাঙ্গা লাকমালের বল লংঅনে উড়িয়ে মারতে গিয়ে গুনারত্নের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাজঘরে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তামিম জানালেন, এতটা সময় ক্রিজে থাকতে অনেক ঘাম ঝরাতে হয়েছে। লঙ্কান বোলারদের পরীক্ষায় সফল হয়ে খুশি বাংলাদেশের এই ওপেনার।

‘আমার বেশ কিছু সুযোগ হয়েছিল ফিফটি করার; কিন্তু সেগুলোতে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেনি। অতীতকে পেছনে ফেললাম। সুযোগটাকে কাজে লাগালাম। আমি স্কোর করতে চাই। যত দূর সম্ভব দলে অবদান রাখতে চাই। ৪৫ ওভার (মূলত ৪৮ ওভার) পর্যন্ত ব্যাটিং করে যাওয়া সহজ নয়; ঘাম ঝরাতে হয়েছে অনেক। মাথা ঠাণ্ডা রেখে ব্যাট করেছি; আর স্ট্রাইক ধরে রেখেছি।’

সাকিবের প্রশংসা করে তামিম বলেন, ‘সাকিব যেভাবে খেলেছে, তা ছিল অসাধারণ। আর জানতাম, আমি যদি ১৩৫ বা তার কাছাকাছি করতে পারি, তাহলে দলের স্কোর ৩০০ হতে পারে। সে পথেই এগিয়েছিলাম। মন বলছিল সেটাই।’

এনইউ/এমএস

Advertisement