টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সৌম্য সরকারকে নিয়ে সূচনাটা ভালোই ছিল তামিম ইকবালের। তবে সৌম্য অফস্ট্যাম্পের বল অযথা খোঁচা মারতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে আউট হন। এরপর ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নামা সাব্বির রহমান জুটি বাধেন তামিমের সঙ্গে। সর্বশেষ কলম্বো টেস্টে এই দু’জনের জুটির ওপরই তো গড়ে উঠেছিল বাংলাদেশের বিজয়ের সৌধ। সেটাকেই যেন ডাম্বুলায় টেনে আনলেন তারা দু’জন। গড়লেন ৯০ রানের বড় জুটি।
Advertisement
৫৪ রান করে সাব্বির আউট হওয়ার পরপরই মুশফিক বিদায় নেন ১ রান করে। বড় স্কোর গড়ার জন্য আরও একটি বড় জুটি প্রয়োজন ছিল। সেই দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নিলেন দুই বন্ধু তামিম-সাকিব। চতুর্থ উইকেট জুটিতে উঠলো ১৪৪ রান। সাকিব আউট হন ৭২ রানে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। সাব্বির আর সাকিবের সঙ্গে তামিমের যে দুটি বড় জুটি গড়ে উঠেছে, সেটাই বাংলাদেশের রান ৩২৪-এর ঘরে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা বাংলাদেশের জয়ের আসল নায়ক তামিম ইকবাল নিজের অনুভুতি জানাতে গিয়ে এক কথায় বলেছেন, ‘ খুবই ভালো লাগছে। প্রচণ্ড গরম ছিল। তবুও চেষ্টা করেছি ভালো খেলার। দলের জয়ে অবদান রাখতে পারলে সব সময়ই ভালো লাগে।’
Advertisement
সাব্বির আর সাকিব আল হাসানের দুই জুটিতে অবদানের কথা স্বীকার করে তামিম বলেন, ‘সাব্বির আর সাকিব দারুণ সাপোর্ট দিয়েছে। ওই দুটি জুটি, বিশেষ করে সাকিব আর আমার জুটি আমাদের ৩২০ রানের বেশি করার পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে। আমি আর সাকিব খুব পরিকল্পনা মাফিক আগানোর চেষ্টা করেছি।’
সাকিব-তামিমের জুটির সময় হঠাৎ চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেছিল লঙ্কানরা। এ বিষয়টা জানিয়ে তামিম বলেন, ‘আমরা দুইজন যখন ক্রিজে, তখন হঠাৎ লঙ্কানরা ভালো বল করতে শুরু করলো। আমি আর সাকিব ঠিক করলাম, যতক্ষণ পারা যায় ততক্ষণ ধরে উুইকেটে থাকবো এবং রানের চাকাও সচল রাখবো। আল্লাহকে অশেষ ধন্যবাদ যে, সে লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।’আইএইচএস/