প্রবাস

মালয়েশিয়ায় জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাসের হল রুমে আলোচনা সভা হয়।

Advertisement

সভায় রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন, ডিফেন্স উইং প্রধান এয়ার কমোডর মো. হুমায়ূন কবির, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন, মন্ত্রী রইছ হাসান সারোয়ার।

গণহত্যা দিবসে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, একাত্তরের এ দিনে বাঙালি জাতি প্রত্যক্ষ করেছিল ইতিহাসের বিভীষিকাময় নৃশংস বর্বরতা।  ২৫ মার্চ মধ্য রাতে গণহত্যার নীলনকশা ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে পাকিস্তানি দানবরা মেতে উঠেছিল স্বাধীনতাকামী বাঙালি নিধনযজ্ঞে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এক রাতেই হানাদাররা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল লক্ষাধিক বাঙালিকে।

তিনি বলেন, হত্যা-নিপীড়ন চালিয়ে বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারেনি।

Advertisement

হাইকমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমে রুখে দাঁড়ান। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন।  ৫২’র ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয়দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান এবং ৭০’র সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ের পথ ধরে বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম যৌক্তিক পরিণতির দিকে ধাবিত হয়। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।

উল্লেখ্য, ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। জাতীয় গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শাহানা ইসলাম, নাজমা রহমান, ফার্স্ট সেক্রেটারি এসকে শাহীন, কমার্শিয়াল উইং ধনন্জয় কুমার দাস, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার ফার্স্ট সেক্রেটারি মশিউর রহমান তালুকদার, শ্রম শাখার প্রথম সচিব হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল, ২য় সচিব তাহমিনা ইয়াসমিন, ফরিদ আহমদসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

এছাড়া আলোচনা সভা শেষে ৭১ এ বাংলাদেশের প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এমআরএম/এএইচ/আরআইপি

Advertisement