সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়িতে জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহলে’ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অপারেশন ‘টোয়ালাইট’ অভিযান চলছে। শনিবার দুপুর ২টার দিকে ওই জঙ্গি আস্তানা থেকে মুহুর্মুহু গুলি ও বোমা বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গেছে।
Advertisement
‘আতিয়া মহল’ থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছেন জাগো নিউজের সিলেট প্রতিবেদক ছামির মাহমুদ। তিনি সেখান থেকে দুপুর সোয়া ২টার দিকে জানান, ওই ভবন থেকে মুহুর্মুহু বোমা ও গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিস্ফোরণের পর পাঁচ তলা ওই ভবনে আগুনের কুণ্ডলি দেখা গেছে।
এর আগে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অপারেশন ‘টোয়ালাইট’ শুরু হওয়ার পর শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ওই ভবনে আটকে পড়া ২৯টি পরিবারের অর্ধশতাধিক লোককে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনেন সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো সদস্যরা।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এসএম রোকন উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, এই মুহূর্তে ‘আতিয়া মহল’ সেনা কমান্ডোদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা অভিযান চালাচ্ছেন।
Advertisement
এ অভিযানে অংশ নিয়েছেন সিলেট সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো সদস্যরা। তাদের সহযোগিতা করছে পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াট, র্যা ব, পিবিআই ও পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার পাঠানপাড়া সড়কের পাশে অবস্থিত পাঁচতলা বিশিষ্ট দুটি ভবনের নাম ‘আতিয়া মহল’। সিলেট নগরের আতিয়া ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী ও দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির বান্দরঘাটের বাসিন্দা সাবেক সরকারি কর্মচারী উস্তার মিয়া ওই ভবনের মালিক।
জঙ্গিরা ‘আতিয়া মহলে’ আস্তানা করেছে এমন সন্দেহে গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটায় থেকে বাড়িটি ঘিরে রাখে পুলিশ। শুক্রবার দিনভর পুলিশ, সোয়াট ও সেনা সদস্যরা বাড়িটিকে ঘিরে রাখেন। এসময় হ্যান্ডমাইকে করে বার বার সন্দেহভাজন জঙ্গিদের আত্মসমর্পনের আহ্বান জানানো হয়। তবে এতে সাড়া মিলেনি। অবশেষে বাড়িটি ঘিরে রাখার প্রায় ত্রিশ ঘণ্টা পর শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চূড়ান্ত অভিযান ‘টোয়ালাইট’ শুরু করেন সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোরা।
ছামির মাহমুদ/আরএআর/এমএস
Advertisement