রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডে ব্যাংক কর্মকর্তা আরিফুন নেছা আরিফা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে গ্রেফতার সাবেক স্বামী ফখরুল ইসলাম রবিন। শুক্রবার সকালে রবিনকে টাঙ্গাইলের একটি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি)পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রবিন সাবেক স্ত্রী আরিফাকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
Advertisement
ডিবি পুলিশ জানায়, রবিনকে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার নন্দাবাজার গ্রামের একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রবিন জানায়, ২০১৬ সালের আগস্টে তাকে তালাক দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আরিফাকে খুন করে রবিন। এর আগে সে নিজে চেষ্টা করে আসছিল পুনরায় সংসার শুরু করার। তাতে রাজি না হওয়ায় আরিফাকে খুন করে।
ডিবির (দক্ষিণ) উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ বলেন, সাংসারিক জীবনের নানা ক্ষোভ থেকেই সাবেক স্ত্রী আরিফাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে রবিন। তালাক দেয়ার পরও আরিফার সঙ্গে তার ফোনে কথা হতো। সে তালাক প্রত্যাহার করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। আরিফাকে চাপ দিতে থাকে। এ নিয়ে আরিফার কর্মস্থল পল্টনে যমুনা ব্যাংকে (কার্ড ডিভিশন) গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখাও করে রবিন। কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছিল অভিযোগে দুই মাস আগে আরিফা কলাবাগান থানায় একটি জিডিও করেন।
ডিএমপি’র যুগ্ম কমিশনার(ডিবি)আব্দুল বাতেন বলেন, রবিন আরিফাকে ফেরাতে চেয়েছিল। কিন্তু আরিফা সংসার করতে রাজি হয়নি। শেষবারের মতো আরিফার সঙ্গে কথা বলতে সেন্ট্রাল রোডে গিয়েছিল রবিন। বাসায় ঢোকার আগেই দরজার সামনে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। তখন রাগের মাথায় আরিফার গলায় ছুরি মেরে পালিয়ে যায় সে।
Advertisement
জিজ্ঞাসাবাদে রবিন দাবি করে, ছুরি মারলেও আরিফা যে মারা যাবে এটা তার ধারণায় ছিল না। পালানোর পর এক বন্ধুর মাধ্যমে সে জানতে পারে, আরিফা মারা গেছেন। এরপর সে ঢাকা থেকে পালিয়ে প্রথমে জামালপুর যায়। সেখান থেকে টাঙ্গাইলের একটি গ্রামে দূরসম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নেয়। এর মধ্যে সে তার মোবাইল ফোনে বন্ধুর সঙ্গে একবারই কথা বলেছিল।
জেইউ/ওআর/এমএস