সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়িতে জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহলে’ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অপারেশন ‘টোয়ালাইট’ শুরু হওয়ার পর ভবনটিতে আটকে পড়া আরও ১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে তাদের উদ্ধার করে বের আনে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো সদস্যরা।
Advertisement
এর আগে শিশুসহ পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ে বেলা ১১টা পর্যন্ত মোট ২০জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ এবং ৭ জন শিশু ও নারী রয়েছেন।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযানে প্রথমে ‘আতিয়া মহলে’ আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করা হবে। পরে চূড়ান্ত আক্রমণে যাবে সেনাবাহিনী।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এসএম রোকন উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, এই মুহূর্তে ‘আতিয়া মহল’ সেনা কমান্ডোদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা অভিযান চালাচ্ছেন।
Advertisement
এদিকে, জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহলে’ অপারেশন ‘টোয়ালাইট’ শুরু হওয়ার আগে থেকে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শনিাবর ভোর ৪টায় যান চলাচল বন্ধ করে দেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। যান চলাচল বন্ধ থাকায় সকাল থেকে সাধারণ মানুষকে পায়ে হেঁটে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে
এ অভিযানে অংশ নিয়েছেন সিলেট সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো সদস্যরা। তাদের সহযোগিতা করছে পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াট, র্যাব, পিবিআই ও পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার পাঠানপাড়া সড়কের পাশে অবস্থিত পাঁচতলা বিশিষ্ট দুটি ভবনের নাম ‘আতিয়া মহল’। সিলেট নগরের আতিয়া ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী ও দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির বান্দরঘাটের বাসিন্দা সাবেক সরকারি কর্মচারী উস্তার মিয়া ওই ভবনের মালিক।
জঙ্গিরা ‘আতিয়া মহলে’ আস্তানা করেছে এমন সন্দেহে গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটায় থেকে বাড়িটি ঘিরে রাখে পুলিশ। শুক্রবার দিনভর পুলিশ, সোয়াট ও সেনা সদস্যরা বাড়িটিকে ঘিরে রাখেন। এসময় হ্যান্ডমাইকে করে বার বার সন্দেহভাজন জঙ্গিদের আত্মসমর্পনের আহ্বান জানানো হয়। তবে এতে সাড়া মিলেনি। অবশেষে বাড়িটি ঘিরে রাখার প্রায় ত্রিশ ঘণ্টা পর শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চূড়ান্ত অভিযান ‘টোয়ালাইট’ শুরু করেন সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোরা।
Advertisement
ছামির মাহমুদ/আরএআর/এমএস