লাইফস্টাইল

শিশুর কোমল ত্বকের যত্ন

শিশুর ত্বক বড়দের তুলনায় নরম ও কোমল হয়ে থাকে। তাই শিশুর ত্বকের যত্নে একটু বেশিই মনযোগী হতে হবে। সঠিকভাবে পরিচর্যা না করা হলে, শিশু আক্রান্ত হতে পারে বিভিন্ন রকম ত্বকের অসুখে। চলুন জেনে নেয়া যাক, কী করে শিশুর কোমল ত্বকের যত্ন নেবেন-শিশুর গোসলের সময় বেশ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা অবশ্য কর্তব্য। শিশুর গোসলের সময় প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস যেমন সাবান, শ্যাম্পু, লোশন ইত্যাদি প্রসাধনী শিশুর শরীরে ঠিকভাবে খাপ খায় কিনা তা দেখে ভালো ভাবে বুঝে নিন। শিশুর জন্য কম ফেনা হয় এমন ধরণের সাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহার করাই শ্রেয়।শিশুকে যথাসম্ভব সূর্যের প্রখর তাপ থেকে দূরে রাখুন। শিশুকে নিয়ে রোদে বের হওয়ার সময় হালকা পাতলা সূতি কাপড় দিয়ে পুরো শরীর রোদ থেকে রক্ষা করতে ঢেকে নিন। দরকার হলে শিশুর কোমল ছোট মাথায় পরিয়ে দিন সুন্দর হ্যাট। এছাড়া সঙ্গে রাখুন ছাতা ও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি।ডায়াপার ভেজা থাকলে আর তা যদি ঠিক সময় শিশুর পরন থেকে আলাদা না করা হয় তবে এ থেকে মারাত্মক রকমের চর্মরোগের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। এসব লুকায়িত জায়গাগুলোতেই চর্মরোগের জীবাণু সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করে থাকে। ডায়াপার বা ন্যাপি পরিবর্তনের সময় জিঙ্ক সমৃদ্ধ অয়েন্টমেন্ট মলম কিংবা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে দিলে তা এসব স্থানে চর্মরোগ কিংবা র্যাশ হওয়া থেকে শিশুর কোমল ত্বককে বাঁচাবে।শিশুর পোশাক পরিচ্ছদ তার ত্বক ও চামড়া ভালো রাখার অন্যতম একটি অনুষঙ্গ। আর শিশুর কাপড় ধোয়ার জন্য পারফিউম মুক্ত ডিটারজেন্ট পাউডার ও সাবান ব্যবহার করুন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো শিশুর ত্বকের সমস্যা মা-বাবা কিংবা অন্য কারো পোশাক থেকেও হতে পারে যারা তার সংস্পর্শে থাকে। তাই এসব ব্যাপারে পরিবারের সকলকেই সমান সাবধান হতে হবে।শিশুর ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সচেষ্ট হোন সবসময়। গন্ধহীন, ইমোলিন যুক্ত শিশুর উপযুক্ত প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহার করুন বুঝে শুঝে। লোশনের চেয়ে বেবিক্রিম কিংবা অয়েন্টমেন্ট শিশুর ত্বকে ভালো কাজ করে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তাই দিনে অন্তত দুইবার শিশুর ত্বকে ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করুন।এইচএন/পিআর

Advertisement