সিলেট মহানগরের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি পাঠানপাড়ায় জঙ্গি আস্তানা এলাকায় জালালাবাদ সেনানিবাস থেকে প্যারা কমান্ডোর একটি দল নিয়ে আসা হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮টায় সেনা কমান্ডোদের নিয়ে আসা হয়।
Advertisement
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া সাংবাদিকদের বলেন, জঙ্গিরা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য সেনাবাহিনীকে আনা হয়েছে। এই অভিযানে তাদের কাছ থেকে সার্বিক সহযোগিতা নিতে চাই।
২০০৬ সালেও নগরের উপকণ্ঠ টিলাগড়ের শাপলাবাগ এলাকার ‘সূর্যদীঘল’ বাড়ি থেকে জেএমবির তৎকালীন আমির শায়খ আবদুর রহমানকে অনেক নাটকীয়তার পর আটক করেছিল র্যাব।
ঘটনাস্থলে শুক্রবার বিকেল থেকেই অবস্থান করছেন সোয়াট বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরাও সেখানে রয়েছেন। পাশাপাশি র্যাব, পুলিশ, ডিজিএফআই, ডিবি, সিটিএসবি, পিবিআইসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকশ সদস্য সেখানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে দমকলবাহিনীর সদস্যরাও ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।
Advertisement
রাতের যে কোনো সময় অভিযান শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আড়াইটা থেকে ‘আতিয়া মহল’ নামের পাঁচতলা একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। এর আগে ওই এলাকায় ব্লক রেইড দিয়ে আস্তানাটি চিহ্নিত করা হয়। এসময় পুলিশ ভবনে জঙ্গিদের কক্ষের দরজা বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়।
বাড়ির নিচ তলার ফ্ল্যাটের পূর্বদিকের উত্তর কোণের একটি কক্ষে জঙ্গিরা অবস্থান করছে বলে ধারণা পুলিশের। সকালে ঘটনাস্থলের পাশের ভবন থেকে কমপক্ষে ৭০ জনকে নিরাপদে জহির-তাহির মেমোরিয়াল স্কুল ভবনে সরিয়ে নেয় পুলিশ।
জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়িটি ঘিরে ফেলার পর পুলিশ সদস্যরা শটগান থেকে থেমে থেমে গুলি ছুড়ে ও হ্যান্ডমাইক দিয়ে মাইকিং করে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানান। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হলেও সন্ধ্যায় আবার বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে।
Advertisement
‘আতিয়া মহল’ নামের পাঁচতলা ভবনে মোট ৩০টি ইউনিট রয়েছে। জঙ্গিদের ইউনিট ছাড়াও ভবনের বাকি ২৯টি ইউনিটের নারী-শিশুসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আটকা পড়েছেন।
আটকেপড়াদের মধ্যে পুলিশ, ব্যাংকার, বেসরকারি কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবার রয়েছে বলে জানা গেছে।
ছামির মাহমুদ/আরএআর/পিআর