খেলাধুলা

মাশরাফির চোখে দুদলই সমান

ডাম্বুলার মাঠে রেকর্ড খুব খারাপ বাংলাদেশের। ২০১০ সালে এই মাঠে এশিয়া কাপে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে নাকানি-চুবানি খেয়েছে বাংলাদেশ। ৭ বছর পর সেই মাঠে আবার টাইগাররা। এবার আর এশিয়া কাপ নয়, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুইটি এই ডাম্বুলায় খেলতে নামছে মাশরাফির দল।

Advertisement

এ মাঠের ইতিহাস ও পরিসংখ্যান টাইগারদের বিপক্ষে। কিন্তু মনোবল তুঙ্গে। এই তো কদিন আগে কলম্বোতে নিজেদের শততম টেস্ট জিতেছেন টাইগাররা। সে দলের বেশির ভাগ সদস্য আছেন ওয়ানডে স্কোয়াডে। সেই অবিস্মরণীয় টেস্ট জেতা দলের প্রায় ৯৫ ভাগ সদস্য তার সঙ্গী। ওয়ানডে সিরিজের আগে কী ভাবছেন মাশরাফি?

শক্তি ও সামর্থ্যে নিজ দলকে কোথায় রাখছেন টাইগার অধিনায়ক, এগিয়ে না পিছিয়ে? মাশরাফির সোজাসাপ্টা কথা, ‘আমি আগে ও পরের কোনো কিছু নিয়ে ভাবি না। তবে আমার মনে হয় দুদল সমান সমান থেকেই মাঠের লড়াই শুরু করবে।’

কেন বাংলাদেশ তো ওয়ানডে সংস্করণে সবচেয়ে ভালো খেলে। এই সংস্করণেই পরিসংখ্যান সবচেয়ে সমৃদ্ধ। তাহলে সমান সমান ভাবা কেন? মাশরাফির জবাব, ‘হ্যাঁ, ওয়ানডেতে ভালো খেলি। জিতিও বেশি। তবে পরিসংখ্যান ঘেটে দেখেন তার বেশির ভাগই দেশের মাটিতে। এই তো কয়েক মাস আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সবগুলোই হেরেছি। সম্ভাবনা জাগিয়েছি, জেতার পরিস্থিতিও তৈরি করেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারিনি। এবার আবার বিদেশের মাটিতে খেলা। আমার মনে হয় এটা এক ধরনের চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দরকার মাঠের পারফরম্যান্স। আর শ্রীলঙ্কাকে আমি পিছিয়ে রাখতে চাই না। কারণ আমার মনে হয় শ্রীলঙ্কার বর্তমান ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দল টেস্টের চেয়ে ভালো। তাই দুই দলকে সমান সমান মনে করছি।’

Advertisement

২০১০ সালের এশিয়া কাপে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হার মানেন টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার কাছে ১২৬, পাকিস্তানের কাছে ১৩৯ রানে আর ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হার মানে বাংলাদেশ।

ডাম্বুলায় বাংলাদেশের আগের রেকর্ড খুব সমৃদ্ধ নয়। তবে শ্রীলঙ্কায় সর্বশেষ স্মৃতি বাংলাদেশের পক্ষেই আছে। পাল্লেকেলেতে এর আগে ২০১৩ সালে সর্বশেষ ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে ৩ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন টাইগাররা। তার ওপর কদিন আগেই কলম্বোতে নিজেদের শততম টেস্ট জয় করেছে বাংলাদেশ। এমন জয়ের পর দারুণ আত্মবিশ্বাসী পুরো দল। মনোবলও চাঙ্গা।

কলম্বো টেস্ট জয় বড় অনুপ্রেরণা কিনা এমন প্রশ্নে মাশরাফির বক্তব্য, ‘অবশ্যই অনুপ্রাণিত থাকা উচিত। এমন সাফল্যের পর মনোবল বাড়ারই কথা। কেউ কেউ হয়তো আমাদেরকে এগিয়ে রাখতে চাইবেন। আমার কথা হলো এগিয়ে থাকলেও মাঠে সেরাটাই খেলতে হবে।’

আরটি/এনইউ/পিআর

Advertisement