খেলাধুলা

মেসির একমাত্র গোলে তিনে উঠলো আর্জেন্টিনা

একেবারে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ২০১৮ বিশ্বকাপ খেলতে পারবে তো তারা? এটাই ছিল ভক্ত-সমর্থকদের মনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কারণ লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে সরাসরি ৪টি এবং প্লে-অফের মাধ্যমে খেলার সুযোগ পেতে পারে আরও একটি দল।

Advertisement

আর্জেন্টিনা যে এই পাঁচটি দলেরও বাইরে চলে গিয়েছিল! লাতিন আমেরিকা (কনমেবল) অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে তারা ছিল ৬ নম্বরে। দু’বার কোপা আমেরিকার ফাইনালে যে চিলির কাছে হেরেছিল মেসিরা, শুক্রবার ভোরে সেই চিলিরই মুখোমুখি হয়েছিল লা আলবিসেলেস্তেরা। নিজেদের মাঠ মনুমেন্টালে আন্তোনিও ভি. লিবার্টি স্টেডিয়ামে চিলির মুখোমুখি হওয়ার পরও কেন যেন আর্জেন্টাইন সমর্থকদের বুক ধুরু ধুরু করছিল।

অবশেষে সমর্থকদের মুখ থেকে সেই চিন্তার ভাঁজ নামিয়ে দিলেন লিওনেল মেসি। ম্যাচের ১৬ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি থেকে মেসির একমাত্র গোলেই কোনোমতে চিলি বাধা পার হতে পারলো আর্জেন্টিনা। সে সঙ্গে ১৩ ম্যাচ শেষে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় তিন নম্বরে উঠে এলো দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ২৩ পয়েন্ট নিয়ে উরুগুয়ে এবং ৩০ পয়েন্ট নিয়ে আর্জেন্টিনার ওপরে রয়েছে ব্রাজিল।

আক্রমণাত্মক একাদশই সাজিয়েছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ এদগার্দো বাউজা। সার্জিও আগুয়েরো, গঞ্জালো হিগুয়াইন, ডি মারিয়ারা ছিলেন লিওনেল মেসির সঙ্গে। এরা এক দলে থাকা মানে প্রতিপক্ষের রক্ষণ সব সময় টতস্থ থাকা; কিন্তু আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের জার্সি গায়ে কেন যেন সব সময়ই নিষ্প্রভ। অপরদিকে চিলির একাদশে সানচেজ ফিরলেও কোচ আন্তোনিও পিজ্জিকে লাইনআপ তৈরি করতে হয়েছে আরতুরো ভিদাল এবং মার্সেলো দিয়াজকে ছাড়াই।

Advertisement

চিলির বিপক্ষে এই জয়টি না পেলে আর্জেন্টিনা পয়েন্ট টেবিলে সাত নম্বরেও নেমে যেতে পারতো। নিজেদের মাঠে খেলা সত্ত্বেও তাই শঙ্কায় ছিল আর্জেন্টাইনরা। চিলির খেলায় সেই শঙ্কা বার বার জেগে উঠছিল। খেলার ১৬ মিনিটে মেসির পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচের শেষ বাঁশি না বাজা পর্যন্ত সেই শঙ্কা শুধুই বাড়ছিল। কারণ, চিলিয়ানদের আক্রমণ ঠেকাতেই যে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল আর্জেন্টিনা ডিফেন্ডারদের!

অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে বক্সের মধ্যে বাজে ট্যাকেল করে ফেলে দেয় চিলির হোসে ফুয়েঞ্জালিদা। সেটাতেই রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। এরপরই পেনাল্টি কিক থেকে চিলির জাল ভেদ করেন মেসি।

চিলিরও দুর্ভাগ্য। খেলার শুরুতে তারা একটা গোল পেয়েছিল; কিন্তু অফসাইডের অজুহাতে সেই গোল বাতিল করে দেন রেফারি। মেসির গোলের পর ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতো আর্জেন্টিনা। তবে নিকোলাস ওতামেন্দি খুব সহজ একটি সুযোগ মিস করে যান।

প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে আরও দুর্দান্ত হয়ে ওঠে চিলি। অন্তত একটি পয়েন্ট হলেও নিশ্চিত করতে পারতেন আলেক্সি সানচেজ। তার দুটি ফ্রি কিক ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। দুর্ভাগ্য একেই বলে। একটিও যদি জালে প্রবেশ করতো, তাহলে নিশ্চিত ড্র করে মাঠ ছাড়তে পারতো চিলিয়ানরা।

Advertisement

আইএইচএস/এমএস