দরিদ্র পরিবারের মেয়ে সারা। ভারতের কর্ণাটকের সংখ্যালঘু মুসলিম পরিবারে বেড়ে ওঠেছে। বাবা চিনি কারখানায় কাজ করেন। বাণিজ্যে স্নাতক শেষ করেছেন তিনি; কিন্তু মাস্টার্সের খরচ চালানোর সামর্থ্য নেই পরিবারের।
Advertisement
সারা ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যেমন ইচ্ছা তেমন কাজ তো সব সময় হয় না। কর্ণাটকের মন্দিয়ার বাসিন্দা সারা সেন্ট্রাল ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ব্যাংক জানিয়ে দেয়, এবার তাকে আর লোন দেয়া হবে না। অনেক অনুনয় করেও লোন পাননি সারা। কি করবেন, বুঝে উঠতে পারেননি তিনি। তবে হেরে যাননি সারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সম্পূর্ণ বিষয় জানাবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন।
প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেন কর্ণাটকের সারা। চিঠিতে তার অবস্থার কথা জানান। এরপরই প্রধানমন্ত্রীর দফতর বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। পড়াশোনার জন্য সারা যাতে লোন পায়, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিজয়া ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলা হয়। এরপরই পড়াশোনার জন্য সারাকে লোন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে যে এত তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি ওই মুসলিম তরুণী। সারা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কিছু করবেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত ছিলাম। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি সব হয়ে যাবে, তা বুঝতে পারিনি।’
Advertisement
প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাওয়ায়, এখন বেজায় খুশি সারা। এখন শুধু এগিয়ে চলেছেন তার নিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। ইন্ডিয়া.কম।এসআইএস/জেআইএম