দেশজুড়ে

সারাদিন পরীক্ষা কেন্দ্রে বন্দী অতঃপর সন্ধ্যায় পরীক্ষা

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সেভেন্থ-ডে অ্যাডভানন্টিস্ট সম্প্রদায়ভুক্ত ৫২ জন শিক্ষার্থী দিনে পরীক্ষা কেন্দ্রের একটি কক্ষে বন্দী থেকে সূর্যাস্তের পর পরীক্ষায় অংশ নিলেন। শনিবার শুরু হওয়া ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষার প্রথম দিনে ইংরেজী পরীক্ষায় মির্জাপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্রে তারা রাতে পরীক্ষা দেন।পরীক্ষার্থী মৌকিচ পাক্কী, দুলাল পাঠান, রেবেকা মুর্মি, অঞ্জন কুমার দাস, আঞ্জুয়ারা দাস ও সবিতা শর্মা জানান, সপ্তাহের শনিবার তারা নিজের কোন কাজ করেন না। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত শুধুমাত্র ঈশ্বরের প্রার্থনা করেন। এই কারণে দিনের বেলা পরীক্ষা না দিয়ে সূর্যাস্তের পর তারা পরীক্ষায় অংশ নেন। এ সময় শনিবার বাদে সপ্তাহের অন্যদিন পরীক্ষা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান।শিক্ষার্থীদের তদারকিতে থাকা কালিয়াকৈর অ্যাডভানন্টিস্ট স্কুল এন্ড কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, `শনিবার দুপুর দুটা থেকে ইংরেজি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওই ৫২ জন শিক্ষার্থীকে দুটা থেকেই পরীক্ষা কেন্দ্রের একটি কক্ষে আটকিয়ে রাখা হয়। আসলে কক্ষে আটক থেকে সারাদিন না খেয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়া খুবই কষ্টকর।` এসময় তিনি ধর্ম পালনের বিষয়টি বিবেচনা করে শনিবারের পরিবর্তে অন্য কোনদিন পরীক্ষা নেয়ার জন্য দাবি করেন।কেন্দ্র সচিব ও মির্জাপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান স্বাক্ষরিত একটি পত্রের আলোকে তাদের সূর্যাস্তের পর (সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট) পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। তবে সারাদিন পরীক্ষার কাজে ব্যস্ত থেকে রাতের বেলা পরীক্ষা নেয়া একটু অস্বস্তিকর বলে তিনি উল্লেখ করেন।এ বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষায় কালিয়াকৈর ডিগ্রি কলেজ, টঙ্গী সরকারি কলেজ ও ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ হতে একই সম্প্রদায়ভুক্ত ৯৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। তারা যথাক্রমে মির্জাপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ ও গাজীপুরের কাজি আজিমুদ্দিন কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।এমজেড/আরআই

Advertisement