আন্তর্জাতিক

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সরানো হবে না সংরক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য: মমতা

কলকাতায় তালতলার বেকার হোস্টেল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলার দাবি জানিয়েছিল সংখ্যালঘুদের একটি সংগঠন। সেই দাবিকে নাকচ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

তিনি বলেছেন, ‘ঐতিহ্যের কোনও ইজারা হয় না। বঙ্গবন্ধু দুই বাংলার কাছেই শ্রদ্ধেয়, স্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের প্রেরণা। তার স্মৃতি শ্রদ্ধার সঙ্গে সংরক্ষণ করাই আমাদের কর্তব্য। এর কোনও রকম বিরোধিতাকে বরদাস্ত করা হবে না। কেউ প্রতিরোধ তৈরি করতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সংখ্যালঘুদের সংগঠন, ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ইসলাম ধর্মে ভাস্কর্যের স্বীকৃতি নেই। বেকার হোস্টেলের ভেতরে মসজিদ রয়েছে। তাই হোস্টেলের মধ্যে কোনও ইসলামবিরোধী কাঠামো গড়া অন্যায়।’

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘অবিলম্বে ওই ভাস্কর্য হোস্টেল থেকে সরিয়ে কলকাতার যে কোনও সরকারি জায়গায় বসানো হোক।’

Advertisement

তিনি বলেন, হোস্টেলের সংগ্রহশালায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য যে রয়েছে, তা আমাদের জানা ছিল না। গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে তার ভাস্কর্যে মালা দিতে আসেন সিপিএম নেতা বিমান বসু। তখনই আমরা বিষয়টি জানতে পাই।

হোস্টেল থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সরানোর দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকেও চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানান কামরুজ্জামান। বিষয়টি নিয়ে তারা শিগগিরই মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন বলে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি জেনে বলতে পারব।’

৭২ বছর আগে কলকাতার ওই বেকার হোস্টেলে থেকেই পড়াশোনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ইসলামিয়া কলেজে আইন নিয়ে পড়ার সময়ে দু’বছর (১৯৪৫-৪৬ সালে) বেকার হোস্টেলে দোতলার ২৪ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি। এটি বর্তমানে মাওলানা আজাদ কলেজ নামে পরিচিত। ১৯৯৮ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহার করা ২৪ ও ২৩ নম্বর কক্ষ মিলিয়ে সংগ্রহশালা গড়ার উদ্যোগ নেন প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু।

একই বছরের ৩১ জুলাই ওই সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেন তৎকালীন উচ্চ-শিক্ষামন্ত্রী সত্যসাধন চক্রবর্তী। সংগ্রহশালায় বঙ্গবন্ধুর ব্যবহার করা বিছানা, চেয়ার, টেবিল, তাক সংরক্ষিত রয়েছে। পরে ২০১১ সালের ২৩ জানুয়ারি বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মণি ওই সংগ্রহশালায় শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য উন্মোচন করেন।

Advertisement

সূত্র : আনন্দবাজার।

এসআইএস/জেআইএম