খেলাধুলা

শহীদ-লিটনের ফেরার মিশন

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের শততম টেস্টের আয়োজন চলছে তখন। কিন্তু হঠাৎই জানা গেল প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত কিপিং করা লিটন দাস ইনজুরিতে। অনুশীলনে বুকে ব্যথা পাওয়ায় সিরিজ শেষ তার। কথা ছিল ইমার্জিং কাপে খেলবেন। ইনজুরি কেড়ে নিয়েছে তাও। তবে ব্যথা কমেছে তার।

Advertisement

আগামী দু-তিন সপ্তাহ পর ব্যাটিংয়ে ফিরে আসতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। এছাড়া বিপিএলের মাঝে ইনজুরিতে পড়া মোহাম্মদ শহীদও কোনো সাপোর্ট ছাড়া চলাফেরা করছেন বলে জানান তিনি।

লিটন দাসের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিসিবি চিকিৎসক বলেন, ‘লিটন দাসের বুকের পাঁজরে রিভ ট্রমা ছিল, রিভ একটা ফ্র্যাকচার ছিল। সৌভাগ্যজনকভাবে ফ্র্যাকচারটির স্থান চ্যুতি ঘটেনি। এ ধরনের ইনজুরি সেরে উঠতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় নেয়। কিন্তু যেহেতু এটি একটি রিভ ট্রমা সেহেতু সব সময়ই বুকের একটি নড়াচড়া থেকে যাচ্ছে। এজন্য আমরা ধারণা করছি, ওর সেরে উঠতে একটু বেশিই সময় লাগবে। গতকাল পর্যন্ত ওর যে অগ্রগতি তাতে স্বাভাবিক চলাচলে কোনো ব্যথা নেই। আমরা ওকে আরও এক সপ্তাহ পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছি। আশা করছি দু-তিন সপ্তাহ পর ও ব্যাটিংয়ে ফিরে আসতে পারবে।’

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএলে) মাঝপথে হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েন শহীদ। এরপর গত মাসে অস্ট্রেলিয়া থেকে অস্ত্রোপচার করে আসেন তিনি। তার ইনজুরি নিয়ে দেবাশীষ বলেন, ‘শহীদের হাঁটুর অস্ত্রোপচারের চার সপ্তাহ চলছে। আমরা আজকে ওকে রিভিউ করেছি।

Advertisement

এখন ফিজিও থেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে ওর থেরাপি, রিহ্যাব অনুশীলন চলছে। এক মাসে ওর যে অগ্রগতি সেটা যথেষ্ট সন্তোষজনক। ও ক্রাচ ছেড়ে দিয়েছে। এখন নিজেই কোনো সাপোর্ট ছাড়া চলফেরা করছে। স্বাভাবিকভাবে হাঁটায় ওর কোনো সমস্যা নেই। পুনর্বাসনের প্রথম ধাপটি ও ভালোভাবেই সম্পন্ন করেছে।’

শিগগিরই দ্বিতীয় ধাপের রিহ্যাব শুরু হবে শহীদের। এ ধাপে তার কার্যপ্রণালি নিয়ে দেবাশীষ বলেন, ‘দেড় মাস পর থেকে আমাদের দ্বিতীয় ধাপের রিহ্যাব শুরু হবে। দ্বিতীয় ধাপে শক্তি বৃদ্ধি, ভারসাম্য ও ফ্লেক্সিবিলিটির ওপর জোর দেয়া হয়। এই ধাপটি দু-তিন সপ্তাহ পর্যন্ত চলে। এরপর ওকে আমরা স্ট্রেংদিং অনুশীলনে নিয়ে আসব। তিন-চার মাস পর ধীরে ধীরে ও স্কিল ট্রেনিংয়ে প্রবেশ করবে। সব সম্পন্ন হলে ছয় মাসের মধ্যে ও খেলায় ফিরতে পারবে।’

বাংলাদেশ জাতীয় দলের টেস্ট স্পেশালিস্ট বোলার ভাবা হয় মোহাম্মদ শহীদকে। ইনজুরিতে পড়ার আগে ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। তাই তার ইনজুরি কিছুটা হলে ব্যাকফুটে ফেলেছে টাইগারদের।

অন্যদিকে টেস্ট দলে অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের চাপ কমাতে দলে নেয়া হয়েছিল লিটন দাসকে।

Advertisement

আরটি/এনইউ/জেআইএম