ব্রিটেনে পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। সেই সঙ্গে তারা এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। খবর বিবিসির।
Advertisement
পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫ জনে দাঁড়িয়েছে। ওই হামলায় আরো ৪০ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে ব্রিটেনের পার্লামেন্ট ভবনে ছুরি ও বন্দুক নিয়ে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় এক হামলাকারী।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, সংসদ ভবনের কাছে এবং ওয়েস্টমিনিস্টার ব্রিজের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় পাঁচজন মারা গেছেন।
Advertisement
ওই হামলাকে অসুস্থ এবং বিকৃত রুচি বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। সন্ত্রাসের কাছে ব্রিটেন হার মানবে না এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করে মে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার স্বাভাবিক নিয়মে সংসদের সভা বসবে। স্বাভাবিকভাবে লন্ডনের বাসিন্দারা নিজেদের দৈনন্দিন কাজকর্ম সারবেন। শহরে বেড়াতে আসা পর্যটকেরাও স্বাভাবিক নিয়মে যা করছিলেন এবং যা তাদের পরিকল্পনায় ছিল তাই করবেন।’
ব্রিটেনে এমন হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, বেলজিয়াম, তুরস্ক, গ্রিস, স্পেন, পর্তুগাল, অস্ট্রেলিয়া, কাতার, ভেনেজুয়েলা, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ।
জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল জানিয়েছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সব সময়ই ব্রিটেনের পাশে থাকবে জার্মানি। তিনি আরো বলেছেন, ‘আমরা, জার্মানিরা ব্রিটিশদের খুব কাছের মনে করি।’
সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে ফ্রান্স। তাই এ ধরনের হামলা সম্পর্কে তারাও আতঙ্কিত। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ ব্রিটেনের মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিমূলক বার্তা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, হামলার পর ব্রিটেনবাসী কি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা তারা খুব ভালোভাবেই জানে। ব্রিটেনের ওই হামলায় ফ্রান্সের তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
Advertisement
ওই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তরফ থেকে সম্পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তারা এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবী করেছে।
এদিকে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ‘লন্ডনে হামলায় হতাহত এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা। যুক্তরাজ্যবাসীর সঙ্গে কানাডিয়ানরা সব সময়ই একাত্ব থাকবে।’
টিটিএন/পিআর