দক্ষিণ কোরিয়ায় তিন বছর আগে তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া ফেরিটি উদ্ধার করেছে কর্তৃপক্ষ। ২০১৪ সালে ‘সিওল ফেরি’ দুর্ঘটনায় তিনশর বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। এর মধ্যে অধিকাংশই ছিল স্কুলের শিক্ষার্থী। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে ফেরিটি উদ্ধার করা হয়েছে।
Advertisement
দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এটি ছিল একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ফেরিটি উদ্ধারের সময় এক আবেগঘন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ওই দুর্ঘটনায় যারা নিখোঁজ হয়েছিল তাদের স্বজনরাও ফেরি উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকজন নিখোঁজ ছিলেন। তাদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
সিওল ফেরিটির ওজন ছিল ৬ হাজার ৮২৫ টন। এটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল ডুবে গিয়েছিল।
ফেরিটি ডুবে যাওয়ার সময় ভেতরে আটকে পড়া লোকজন তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তারা ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে সাহায্য চেয়েছিলেন এবং পরিবারকে বিদায় জানিয়েছিলেন।
Advertisement
ডুবে যাওয়া ফেরিটি থেকে ২৯৫ মৃতদেহ উদ্ধারের পর উদ্ধার অভিযান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ফেরিটিতে থাকা নয় যাত্রীর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে রাজধানী সিওলের দক্ষিণাঞ্চলীয় আনসানের দানওন হাই স্কুলের চার শিক্ষার্থী এবং দুই শিক্ষক ছিলেন।
ডুবে যাওয়া ফেরিটিতে ৩২৪ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। এদের মধ্যে ২৫০ জন শিক্ষার্থীই মারা যায়। সরকারি তদন্তকারীরা ওই দুর্ঘটনার জন্য অতিরিক্ত যাত্রী বহনকেই দায়ী করেছেন। ফেরিটিতে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানো হয়েছিল।
দুর্ঘটনার পর নিখোঁজদের স্বজনরা অনেক প্রতিক্ষার মধ্যে থেকেছেন। তারা আশা করেছিলেন ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা গেলে ফেরি দুর্ঘটনার কারণ জানা যাবে। কিন্তু ফেরি দুর্ঘটনার পরপর এটি আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে প্রায় তিন বছর পর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে ফেরিটি উদ্ধার করা হলো।
বুধবার মধ্যরাত থেকেই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। সেসময় অধীর আগ্রহে সেখানে বহু মানুষ অপেক্ষা করতে থাকেন। সেখানে নিখোঁজদের স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
টিটিএন/পিআর