শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকেই বাজিমাত করেছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন। ৪৫ বল খেলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় দুর্দান্ত এক ফিফটি তুলে নেন তিনি।
Advertisement
৩৩তম ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে ছক্কা হাঁকিয়ে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সৈকত। শেষ পর্যন্ত ওই ধনঞ্জয়ার কাছেই হার মানেন মোসাদ্দেক। বিদায়ের আগে করেছেন ৫৩ রান।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৪.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৮ রান। জয়ের জন্য এখনও প্রয়োজন ১৩৭ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৯ ও শুভাগত হোম ০ রানে ব্যাট করছেন।
এদিকে ৩৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। রানের খাতা না খুলতেই বিদায় নেন ইমরুল কায়েস। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। এই উইকেটে সাব্বির রহমান রুম্মনের সঙ্গে ১১৬ রানের জুটি গড়েন সৌম্য।
Advertisement
ভালোই জমে উঠেছিল সৌম্য-সাব্বির জুটি। ফিফটি তুলে নেন সাব্বির রহমান। কিন্তু পা ফসকে গেল সৌম্যর। ব্যক্তিগত ৪৭ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরে গেলেন তিনি। মিলিন্দা সিরিবর্ধনার বলে দাসুন শানাকার হাতে ক্যাচ তুলে দেন বাংলাদেশি এই ওপেনার।
বিদায়ের আগে ৪৩ বল মোকাবেলা করেছেন সৌম্য। ৫টি চার ও দুটি ছক্কায় ৪৭ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ১০৯.৩০! সৌম্যর পর সাজঘরে ফিরেছেন সাব্বির রহমানও। ৬৩ বলে ১১টি চার ও একটি ছক্কায় সাব্বির করেছেন ৭২ রান। তিনি শিকার ধনঞ্জয়া ডি সিলভার। ক্যাচ দিয়েছেন থিসারা পেরেরার হাতে। সাব্বিরের স্ট্রাইক রেট ১১৪.২৮!
দারুণ ফর্মেই আছেন মুশফিকুর রহীম। তার কাছে তাই প্রত্যাশাটাও ছিল বেশি। কিন্তু মুশফিক সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেন কই? ২৩ বলে দুটি চারে ২০ রান করেই ফিরে গেলেন চতুরাঙ্গা ডি সিলভার বলে পরাস্ত হয়ে।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৫৪ রান তুলেছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার ওপেনিং জুটিতে আসে ৩৬ রান। এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। দিলশান মুনাবীরাকে সাজঘরে ফেরান বাংলাদেশি এই পেসার।
Advertisement
তবে দ্বিতীয় উইকেটে বিরাকোডিকে সঙ্গে নিয়ে শতরানের জুটি গড়েন কুশল পেরেরা। দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন বড় সংগ্রহের দিকে। ক্রমশই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটিতে আঘাত হানেন সাইফউদ্দিন। অর্ধশত করা বিরাকোডিকে রুবেল হোসেনের তালুবন্দি করে সাজঘরে ফেরান টাইগার এই তারকা। আউট হওয়ার আগে তার বাট থেকে আসে ৬৭ রান।
কুশল পেরেরাও তুলে নিয়েছেন অর্ধশত। ৬৪ রান করে সেচ্ছায় অবসর নেন পেরেরা। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা করেছেন ৫২ রান। থিসারা পেরেরার ব্যাট থেকে এসেছে ৪১ রান। মিলিন্দা সিরিবর্ধনা ৩২ রান করে সানজামুলের শিকারে পরিণত হন।
বাংলাদেশের বোলারদের কেউ তেমন সুবিধা করতে পারেননি। মাশরাফি ৯ ওভারে ৬৬ রানে এক উইকেট দখল করেছেন। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ৬ ওভারে ৫২ রানে এক উইকেট, রুবেল হোসেন ৭ ওভারে ৫৭ রানে ০ উইকেট, শুভগত হোম ১০ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে কোন উইকেট পাননি। সানজামুল ইসলামই একমাত্র বোলার যিনি কম রান দিয়েছেন। তার ৬ ওভারের স্পেলে রান উঠেছে ২৭, নিয়েছেন ১ এক উইকেট।
প্রসঙ্গত, ক্রিকেট ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিতব্য এই প্রস্তুতি ম্যাচটিতে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ দলের চার তারকা তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান এবং শুভাশিস রায়কে।
এনইউ/পিআর