মুক্তিযোদ্ধাদের গৃহনির্মাণ ঋণ ৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন। একই সঙ্গে সংগঠনটির এ আবেদন খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
Advertisement
ঋণ বাড়ানোর পাশাপাশি তা পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোসহ অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে একটি আবেদন করে ফাউন্ডেশনটি। এদিকে অর্থমন্ত্রীর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়ায় ঋণের পরিমাণ বাড়ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের মহাসচিব গোলাম কাদের বাবুল জাগো নিউজকে বলেন, গত মে মাসে সরকারের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন সমস্যা সমাধানে সুদমুক্ত গৃহনির্মাণ ঋণ প্রকল্প চালু নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধাদের গৃহনির্মাণ ঋণের বিষয়ে ৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। সুদমুক্ত ঋণের বিষয়টি গভর্নর গ্রহণ করলেও অদৃশ্য কারণে পরে আর বাস্তবায়ন হয়নি।
তিনি বলেন, মে মাসের বৈঠকে সোনালী ব্যাংকসহ মোট সাতটি ব্যাংকের মাধ্যমে সরকার প্রদত্ত কার্ডধারী মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ দেয়া হবে বলে জানানো হয়।
Advertisement
সূত্র জানায়, ঋণের পরিমাণ বাড়ানো প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দিন দিন নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ছে। ছোট একটি পরিবারের আবাসিক প্রয়োজন মেটাতে যে ঋণ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। এ কারণে ঋণের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি করা হয়েছে।
ঋণের পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। সুদমুক্ত এ ঋণ ১৫ বছরে ১৮০ কিস্তিতে পরিশোধের দাবি জানানো হয়েছে। এতে মুক্তিযোদ্ধারা মানসিক চাপমুক্ত থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতে পারবেন।
এমইউএইচ/আরএস/এএইচ/এমএস
Advertisement