ভারত সফরের সময় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অরক্ষিত ছিলেন। এ নিয়ে নয়াদিল্লির কাছে অভিযোগ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ায় এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার করার ব্যাপারে কথা বলার জন্য গত ডিসেম্বরে ভারত সফর করেন রাষ্ট্রপতি আদুল হামিদ। এ সময় তার নিরাপত্তা যথাযথ ছিল না। ভিআইপি বা ভিভিআইপিকে ব্যক্তিদের বিশেষ গাড়িতে করে আগ্রায় তাজমহলে নিয়ে যাওয়ার নিয়ম থাকলেও আবদুল হামিদকে নিয়ে যাওয়া হয় সাধারণ ব্যাটারিচালিত একটি বাহনে (স্থানীয় ভাষায় ‘গল্ফ কার্ট’ বলা হয়)।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো অভিযোগপত্রে বলা হয়, ব্যাটারিচালিত সাধারণ মানের যে গাড়িতে রাষ্ট্রপতিকে তাজমহল পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়া হয়, সেটিতে মারাত্মকভাবে তার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়।এদিকে, বাংলাদেশের এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগ্রা পুলিশ ও উত্তরপ্রদেশের নিরাপত্তা সংস্থার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব প্রণব বিশ্বাস উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানের মুখ্য সচিবের কাছে চিঠি লিখে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছেন বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে যে, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ২০১৪ সালের ১৮ থেকে ২৩ এপ্রিল দিল্লি, জয়পুর, আজমির, কলকাতা ও শান্তিনিকেতন সফর করেন। তার এ সফর কোনো অঘটন ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। কিন্তু এ সময় কিছু নিরাপত্তা-ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। আগ্রায় এই ভিভিআইপির পরিদর্শনকালে সাধারণ ব্যাটারিচালিত গাড়ি সরবরাহ করা হয়। হোটেল ওবেরয় অমরবিলাসে তিনি অবস্থানকালে লিফটও ঠিকমতো কাজ করেনি। রাষ্ট্রপতিকে বহনের জন্য যে সাধারণ মানের ব্যাটারিচালিত গাড়ি দেয়া হয়েছিল, এটি কোনো ভিআইপি বা ভিভিআইপি পরিবহনের জন্য ব্যবহার হয় না।এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব বাবু লাল জানান, বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের সফরকালে নিরাপত্তার ক্রটির অভিযোগটি তদন্ত করে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আগ্রার এসএসপি রাজেশ মোদক বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।এএইচ/এআরএস/এমএস
Advertisement