আলো ঝলমলে আর ছবির মতো সাজানো একটি দেশের নাম অস্ট্রেলিয়া। এটি মূলত একটি দ্বীপ-মহাদেশ। এটি এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বে ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত। এটি পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাদেশ কিন্তু ষষ্ঠ বৃহত্তম দেশ। অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা। সিডনী বৃহত্তম শহর। দুইটি শহরই দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত। গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ বিশ্বের বৃহত্তম প্রবাল প্রাচীর। এটি অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত ধরে প্রায় দুই হাজার দশ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। এটি প্রায় পঁচিশশো প্রাচীর ও অনেকগুলি ছোট ছোট দ্বীপের সমষ্টি।
Advertisement
কুইন্সল্যান্ডের তীরের কাছে অবস্থিত ফেয়ারফ্যাক্স দ্বীপ গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের অংশ।এই দেশের মুদ্রার নাম অস্ট্রেলিয়ান ডলার। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বসতিস্থাপক ছিল এখানকার আদিবাসী জাতি। ১৭শ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত বহির্বিশ্বের কাছে দ্বীপটি অজানা ছিল। ১৭৮৮ সালে দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার পোর্ট জ্যাকসনে প্রথম স্থায়ী উপনিবেশ সৃষ্টি করা হয়; এটি ছিল ব্রিটিশ কয়েদিদের উপনিবেশ। এটিই পরবর্তীকালে বড় হয়ে সিডনী শহরে পরিণত হয়।
১৯শ শতক জুড়ে অস্ট্রেলিয়া একগুচ্ছ ব্রিটিশ উপনিবেশ হিসেবে কাজ করত। ১৯০১ সালে এগুলি একত্র হয়ে স্বাধীন অস্ট্রেলিয়া গঠন করে। অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে আজকের এই অস্ট্রেলিয়া এই অবস্থায় আসতে পেরেছে। তবে তাদের এই আগমনের সাথে সাথে তাদের ফ্যাশনে, তাদের পোশাকেও এসেছে অনেক পরিবর্তন। যা তাদের সভ্যতা, তাদের আধিপত্য এবং তাদের পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য বহন করে।
অস্ট্রেলিয়ার মানুষদের নির্দিষ্ট কোন ড্রেস কোড নেই। তবে স্থান, কাল এবং আবহাওয়ার সাথে তারা তাল মিলিয়ে পোশাকে পরিবর্তন আনে। তারা তাদের ঐতিহ্যকে নতুনত্বের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করে। অবশ্য তাদের স্থানীয় কিংবা লোকাল ড্রেস এর ব্যবহারে বেশ তারতম্য রয়েছে। যেমন বীচে যারা অবস্থান করে তারা এক ধরনের পোশক পরেন আবার গ্রামের দিকে যারা থাকেন তারা ঠিক তার উলটো ধরনের পোশাক পরে থাকেন।
Advertisement
মেয়েরা ওয়েস্টার্নই পরে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে যারা গ্রামের দিকে অবস্থান করেন তারা কেউ কেউ শরীরের উপরের অংশে ব্লাউজের মতো আর নিচে ঘের দেওয়া লুঙ্গির মতো একটি অংশ পরে থাকে। আর ছেলেরা তাদের ফরমাল লুকে থাকতে ভালোবাসে। তবে যারা অফিসিয়াল জীবনের বাইরে থাকে তারা শর্ট প্যান্ট আর টি-শার্ট পরেই বেশি সময় কাটান।
এইচএন/পিআর