জাতীয়

মুক্ত আকাশে উড়বে চন্দনা টিয়ার বাচ্চাগুলো

বাচ্চাগুলো এখনো উড়তে শেখেনি। খাওয়াতে হয় মুখে তুলে। এরই মধ্যে চন্দনা টিয়ার বাচ্চাগুলো ধরে নিয়ে আসেন পাখি বিক্রেতা নাজমুল ইসলাম নাঈম।

Advertisement

দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাখির বাচ্চা ধরে নিয়ে এসে রাজধানীর ভাসানটেক এলাকায় বিক্রি করেন তিনি। আর ফেসবুক পেজে পাখি বিক্রির জন্য ছবি, দরদাম উল্লেখ করে ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন নাঈম।

চন্দনা টিয়ার ২০টি বাচ্চা বিক্রির জন্য সম্প্রতি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন নাঈম। বিষয়টি চোখে পড়ে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক জাহিদুল কবিরের তত্ত্বাবধানে ইউনিটের পরিদর্শক অসিম মল্লিকের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ভাসানটেক থেকে ১০টি বাচ্চা উদ্ধার করা হয়। বাকি ১০টি বাচ্চা আগেই বিক্রি করে দেন নাঈম।

Advertisement

অসিম মল্লিক জাগো নিউজকে জানান, নাজমুল ইসলাম নাঈম ফেসবুকের মাধ্যমে পাখিগুলো বিক্রি করছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ফেসবুকের মাধ্যকে তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়। তিনি বিভিন্ন স্থান থেকে ২০টি টিয়া পাখির বাচ্চা ধরে নিয়ে আসেন। পরে বাচ্চাগুলো কেনার জন্য ফেসবুকে তাকে প্রস্তাব দেয়া হয়। ৪৯ হাজার টাকায় ১০টি বাচ্চা বিক্রি করতে রাজি হন নাঈম। পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ভাসানটেকে যান বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কর্মীরা।

কিন্তু পাখি বিক্রেতা আগে থেকেই বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্যদের চিনতেন। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের উপস্থিতি টের পেয়েই পাখির খাঁচাটি রেখে দৌড়ে পালিয়ে যান নাঈম। সেখান থেকে চন্দনা টিয়ার বাচ্চাগুলো উদ্ধার করা হয়। এখন ছোটো হওয়ায় বাচ্চাগুলোকে হাতে তুলে খাওয়াতে হচ্ছে।

বাচ্চাগুলোকে আর খাঁচার বন্দী জীবন কাটাতে হবে না। উড়তে পারলেই পাখিগুলোকে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেয়া হবে বলেও জানান অসিম মল্লিক।

এমএসএস/কেএ/জেডএ/জেআইএম

Advertisement