আইন-আদালত

আসামিকে নির্যাতন : এএসপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ

হাফিজুর রহমান বিজয় নামের এক আসামিকে বাউফল থানা হেফাজতে নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় পটুয়াখালীর সার্কেল এএসপি সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিজয়ের পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

Advertisement

পুলিশ মহাপরিদর্শকের দেয়া প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর শুনানি নিয়ে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ ফারুক হোসেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

পুলিশ মহাপরিদর্শকের দেয়া প্রতিবেদন পড়ে আদালত বলেন, পটুয়াখালীর সার্কেল এএসপি সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দেয়া প্রতিবেদন সত্য। কাজেই তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হোক।

Advertisement

আইজিপির দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত ভিকটিমের চিকিৎসা সনদপত্র, স্বাক্ষীদের জবানবন্দি ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাউফল থানার ২১ নম্বর মামলার এজহারভুক্ত আসামি এম হাফিজুর রহমান বিজয়কে ১২ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই ফেরদৌস আলম গ্রেফতার করে থানায় আনে।

বাউফল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ওই দিন রাত সাড়ে ১২টায়  ভিকটিম বিজয়কে ওসির কক্ষে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে।

তবে একই ঘটনায় বাউফল থানার ওসি আজম খান ফারুকী, ওসি তদন্ত লুৎফর রহমান, এসআই ফেরদৌস আলম ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি এএসপি সাইফুল ইসলামকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেন। আগের ঘটনার বিষয়ে আইজিপিকে আদালতে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। সে অনুযায়ী রোববার আইজিপির পক্ষ থেকে আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

Advertisement

১৭ ফেব্রুয়ারি এএসপি ও ওসিকে তলব করেন হাইকোর্ট। সেই প্রেক্ষিতে এএসপি সার্কেল সাইফুল ইসলাম ও বাউফল থানার ওসি আযম খান ফারুকী আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চান। আদালত তাদের আবেদন বিবেচনায় নিয়ে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন।

আদালত সেদিন রুলও জারি করেন। রুলে এই নির্যাতনের ঘটনাকে কেনো অবৈধ ঘোষণা, নির্যাতিতকে কেনো ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কেনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না-তা জানতে চাওয়া হয়।এফএইচ/এএইচ