সাংগঠনিক প্যাডে প্রতিমন্ত্রীর সুপারিশ নিয়ে এককভাবে চূড়ান্ত কমিটির অনুমোদন দিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফজলে রাব্বী স্মরণ। এক্ষেত্রে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিকেও তোয়াক্কা করেননি।
Advertisement
এ ঘটনায় ছাত্রলীগের মধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে নেতাকর্মীদের। তারা এ ঘটনায় শাস্তি চেয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
জানা গেছে, গত ১১ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠন হলেও দীর্ঘদিন তা অপ্রকাশিত থাকার পর গত কয়েকদিন আগে তা প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা যায় সাংগঠনিক প্যাডে স্বাক্ষর রয়েছে শুধু জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফজলে রাব্বী স্মরণের। আর সুপারিশসহ স্বাক্ষর রয়েছে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের। এছাড়া এ ঘটনার কিছুই জানানো হয়নি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন চৌধুরীকে।
অর্থপ্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ছাত্রলীগের প্যাডেই চূড়ান্ত কমিটি অনুমোদনের জন্য লিখেন ‘জোর সুপারিশ করছি’। এর নিচে মন্ত্রণালয়ের সিলমহরসহ মন্ত্রীর স্বাক্ষর। আর জেলা কমিটির সভাপতি সেটিই অনুমোদিত বলে স্বাক্ষর দেন।
Advertisement
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, কেউ কমিটির জন্য সুপারিশ করতে পারেন। তবে সেটি নিজস্ব কাগজে। ছাত্রলীগের সাংগঠনিক প্যাডে নয়।
সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, যদি মন্ত্রী এমন করে থাকেন তাহলে ঠিক করেননি। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফোন করা হলেও কেউ কল রিসিভ করেনি।
এদিকে কিছুদিন আগে কুমিল্লার চান্দিনায় ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, কেন্দ্রের সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ কম থাকার ফলে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এভাবে চলতে থাকলে কেন্দ্র তৃণমূলে নিয়ন্ত্রণ হারাবে।
Advertisement
এমএইচ/এএইচ