ওয়াসা এবং সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। রাজধানীর পল্টনে কালভার্ট রোডে ওয়াসার খোলা ম্যানহলে পড়ে এক প্রতিবন্ধীর মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রোববার আদালতে হাজির হওয়ার পর এ সংক্রান্ত শুনানিতে এ প্রশ্ন তোলেন আদালত।
Advertisement
আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আপনারা সিটি কর্পোরেশন কি কাজ করেন? রাস্তার মাঝখানে যা থাকে আই্ল্যান্ড নাকি ডিভাইডার সেখানে শোভা বর্ধন। আপনাদের কাজ কি রাস্তার মাঝে ডিভাইডার বা আইল্যান্ডের শোভা বর্ধন করা নাকি মানুষকে কষ্ট দেয়া?
আদালত আরও বলেন, ওয়াসার চেয়ারম্যান এবং এমডি হলেন দায়িত্বশীল ব্যক্তি। তাদের অধীনে কি কাজ হচ্ছে কেমন হচ্ছে সেটা তারা দেখবেন না? তখন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন বলেন, সিটি কর্পোরেশনে ১২ হাজার ৩৩৭টি ম্যানহল রয়েছে। আদালত বলেন, আমরা হিসেব জানতে চাচ্ছি না, তাদের দায়িত্ব জানতে চাচ্ছি।
এ সময় আদালত বলেন, রাস্তাঘাটে ডাস্টবিনের ড্রামে এক ব্যক্তির (মেয়রের) নাম লেখা রয়েছে। আমরা তার নাম প্রকাশ করতে চাই না। তিনি কি প্রচার প্রচারণার জন্য এটা করেছেন?
Advertisement
উল্লেখ্য, গত ৭ মার্চ তলবের প্রেক্ষিতে তারা রোববার সকালে আদালতে হাজির হন। শুনানির পর দুপুর ২টায় হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেন।
আদেশে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তবে পাঁচ প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে দায়িত্বে অবহেলার জন্য দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
আদালতে ওয়াসার পক্ষে শুনানি করেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।
১৯ মার্চ তাদের স্বশরীরে হাইকোর্টে হাজির হয়ে ম্যানহল খোলা রাখার ঘটনায় তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য ৭ মার্চ বলেছিলেন আদালত। একই সঙ্গে ম্যানহলে পড়ে ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় বিবাদীদের কর্তব্যে অবহেলা ও ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় তাদের কেনো দায়ী করা হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে কেনো (আইনগত ব্যবস্থা) মামলা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এছাড়াও রুলে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে কেনো ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না তাও জানতে চান হাইকোর্ট।
Advertisement
এফএইচ/এএইচ