আগামী মাসে নয়াদিল্লি সফরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রীকে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার আমন্ত্রণ জানাতে পারে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের ভোটের পরে কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতার যে বার্তা মমতা দিয়েছেন, তা মেনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসলে এই সফর বাড়তি গুরুত্ব পেয়ে যাবে বলে মনে করছেন ভারতীয় কূটনীতিকরা।
Advertisement
আগামী মাসের ৭ তারিখ তিন দিনের সফরে ভারতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারেএক প্রতিবেদনে বলছে, শেখ হাসিনার সফরে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পাঁচটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নয়াদিল্লিতে আমন্ত্রণ জানাবে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এ তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও রয়েছে মেঘালয়, অাসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা-মমতার সম্ভাব্য বৈঠকটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। উত্তরপ্রদেশে বিপুল জয়ের পরে নরেন্দ্র মোদি এখন অনেক বলীয়ান। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি ইস্যুতে মমতাকে নরম করার এটা সুযোগও তৈরি হয়েছে। এই কারণে ঢাকার প্রত্যাশাও বেড়েছে বহুগুণ।
তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই আমন্ত্রণে শেষ পর্যন্ত দিল্লি আসবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তৃণমূল সূত্র বলছে, শেখ হাসিনার সফরের এখনও অনেক দেরি রয়েছে। আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণও এখনও আসেনি। ফলে এখনই এ নিয়ে মন্তব্য করার সময় হয়নি।
Advertisement
তবে অনেকে বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দিল্লি এসে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করার সুযোগকে কৌশলগত কাজে লাগাতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। যেহেতু রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় শেখ হাসিনাকে আতিথ্য দিচ্ছেন, তাই মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণও তিনিই জানাতে পারেন। কূটনীতিকরা মনে করছেন, এর ফলে আমন্ত্রণ গ্রহণ করাটা মমতার পক্ষে সহজ হবে।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলছে, এখনই তিস্তা চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত পদক্ষেপের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি ঠিকই, কিন্তু দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে এ বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করা হবে। পাশাপাশি এই চুক্তিতে এতদিন দেয়াল তুলে রাখা মমতা-হাসিনার মুখোমুখি বসলে অনেকটাই ইতিবাচক বার্তা আসতে পারে।
এর আগে ২০১০ সালে শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময়েও মমতা দিল্লিতে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। উপহারের শাড়ি সঙ্গে নিয়ে দেখা করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। দিদি সম্বোধন করেছিলেন শেখ হাসিনাকে। পরিস্থিতি ভিন্ন হলেও ৭ বছর আগের সেই ছবিরই পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় দিল্লি।
এসআইএস/জেআইএম
Advertisement