কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের শততম টেস্ট খেলতে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। আর জয় দিয়েই এ টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখলেন টাইগাররা। দারুণ এ জয়টি এসেছে তামিমের দুই ইনিংসে অনবদ্য ব্যাটিং, সাকিবের সেঞ্চুরি ও অসাধারণ বোলিং।
Advertisement
এছাড়া উল্লেখ করার মতো ছিল অভিষিক্ত মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও সাব্বির রহমানের ব্যাটিংও। তবে এদের চেয়ে মোস্তাফিজের বোলিংকেই এগিয়ে রাখছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্দ্রিকা হাথুরুসিংহে। চতুর্থ দিনে লাঞ্চের পর ৭ ওভারের বোলিং স্পেলেই ম্যাচ বাংলাদেশের পক্ষে এসেছে বলে মনে করেন তিনি।
শততম টেস্টে ঐতিহাসিক জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘তারা (পেসাররা) এখনও অনভিজ্ঞ। তবে তারা প্রতিনিয়ত উন্নতি করছে, যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চতুর্থ দিনে লাঞ্চের পর মোস্তাফিজের ৭ ওভারের স্পেলে ম্যাচ ঘুরে গেছে। উইকেটে কিছুই ছিল না, পেস বোলারদের জন্য খুবই অনুপযোগী গরম পরিবেশ। সে এসেছে, জাদুকরী ৭ ওভারের বোলিং স্পেল করেছে এবং ৩টি উইকেট নিয়েছে। ওইটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ছিল বলে আমার মনে হয়।’
প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুতে দারুণ ব্যাটিং করেছিল শ্রীলঙ্কা। এক পর্যায়ে মাত্র ১ উইকেট হারিয়েই লিড নিতে সক্ষম হয়েছিল দলটি। ১৪৩ রানে মাত্র ১ উইকেট হারানো দলটি তখন বড় লিডের সম্ভবনাই তৈরি করেছিল।
Advertisement
তবে লাঞ্চের পর মোস্তাফিজুর রহমান বোলিং করতে আসার পরই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। ৭ ওভারে ২৪ রান দিয়ে তুলে নেন ৩টি উইকেট। এর মধ্যে রয়েছে গল টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান কুশল মেন্ডিস, প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান দিনেশ চান্দিমাল ও দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আসেলা গুনারত্নেকে।
মোস্তাফিজের সে জাদুকরী স্পেলের পর দারুণ উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন সাকিব-মিরাজরা। এরপর দ্রুত আরও ৪ উইকেট তুলে দারুণ চাপ সৃষ্টি করে বাংলাদেশ। তবে নবম উইকেটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন দিলরুয়ান পেরেরা ও সুরাঙ্গা লাকমাল। তবে শেষ পর্যন্ত সে বাধা ভেঙ্গে ৪ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশ।
আরটি/এনইউ/জেআইএম
Advertisement