১৯১ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুড়ে দিয়ে শ্রীলঙ্কা তো জয়ের স্বপ্ন দেখতেই পারে। কেননা ভারত-পাকিস্তানকে এমন ছোট্ট লক্ষ্য দেয়া হয়েছিল; সেটা উৎরে যেতে পারেনি। তার ওপর দুর্দান্ত দুই ডেলিভারিতে সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসকে সাজঘরে ফেরান লঙ্কান অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথ।
Advertisement
এরপর তো তাদের চোখ জয়েই ছিল; এটা বলা বাহুল্য। তবে যা পারেনি ভারত-পাকিস্তান; তা করে দেখিয়েছে টিম বাংলাদেশ। নিজেদের শততম টেস্টে ৪ উইকেটের রোমাঞ্চকর এক জয় তুলে নিয়েছে মুশফিকুর রহীমের দল।
প্রথম ইনিংসেও শ্রীলঙ্কার চেয়ে এগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনেশ চান্দিমালের সেঞ্চুরিতে লঙ্কানরা পেয়েছিল ৩৩৮ রানের সংগ্রহ। জবাবে বাংলাদেশের পক্ষে সেঞ্চুরি করেন সাকিব আল হাসান। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ তোলে ৪৬৭ রান।
প্রথম ইনিংস থেকে ১২৯ রানের লিড পেয়ে এবার বাংলাদেশ জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। অপরদিকে চাপ তৈরি হয় লঙ্কান শিবিরে। তবে দিমুথ করুনারত্নের লড়াকু সেঞ্চুরি আর শেষ দিকে দিলরুয়ান পেরেরা ও সুরাঙ্গা লাকমাল প্রতিরোধ প্রাচীর গড়ে তুললে কিছুটা এগিয়ে যায় লঙ্কানরা!
Advertisement
জয় পাওয়ার মতোই পুঁজি সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা; ১৯১ রানের। তবে তামিম ইকবালের ৮২ রানের মহামূল্যবান ইনিংস ও সাব্বির রহমানের (৪১) সময়োচিত ব্যাটিংয়ে জয়ের ভিত তৈরি হয় বাংলাদেশের। তৃতীয় জুটিতে এই দুই ব্যাটসম্যানের কল্যাণে আসে ১০৯ রান। শেষ দিকে মুশফিকের বুক চিতিয়ে লড়া ২২ রানে ভর করে জয় নিশ্চিত হয় টাইগারদের।
জয়টা বাংলাদেশেরই প্রাপ্ত ছিল। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সে কথা স্বীকার করলেন রঙ্গনা হেরাথ। শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের স্বীকারোক্তি এমন, ‘সিরিজ শুরু হওয়ার আগেই বলেছিলাম, সিরিজটা আমাদের জন্য চালেঞ্জিং। দুই দলই সমান্তরালে দাঁড়িয়ে। আমাদের ভালো সুযোগ এসেছিল গল টেস্টে। ওই টেস্টে ৫০০ রানের কাছাকাছি গিয়েছিলাম। কলম্বো টেস্টে সেটা করতে পারিনি। এই টেস্টে (কলম্বো) বাংলাদেশ ভালো খেলেই জিতেছে।’
এনইউ/পিআর
Advertisement