সারাদিনের কাজের ফাঁকে ক্লান্তি দূর করতে অনেকেই পান করে থাকেন এক কাপ ধোয়া ওঠা কফি। ক্লান্তি দূর করতে নয় রূপচর্চায়ও কফি সমান কার্যকর। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, বলিরেখা দূর, ত্বক মৃসণ এবং কোমল করে কফির ফেসপ্যাক। ত্বকের ধরণ বুঝে কফির প্যাকের ভিন্নতা রয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক-
Advertisement
১ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ কফি পাউডার মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এবার ভালো করে মুখে এবং ঘাড়ে লাগান। ২০ মিনিট পর প্যাকটি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরসাথে এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি ত্বককে কোমল মসৃণ করবে। কফি পাউডারে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি যা ত্বককে মসৃণ আর মধু ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে থাকে। এটি স্বাভাবিক ত্বকের জন্য অনেক বেশি কার্যকর।
কফি এবং ওটমিল উভয় এক্সফলিয়েটিং উপাদান সমৃদ্ধ। যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বক নরম কোমল করে তোলে। এক টেবিল চামচ কফি, এক টেবিল চামচ ওটমিল এবং টকদই একসাথে মিশিয়ে নিন। এই প্যাকটি মুখ এবং ঘাড়ে ম্যাসাজ করে লাগান। আধা ঘণ্টা পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।১ চা চামচ কোকো পাউডার, ১ চাচামচ কফি পাউডার এবং কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিন। এবার এটি মুখ ও ঘাড়ে ভালো করে লাগান। প্যাকটি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কফি এবং কোকো পাউডারে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে যা ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ঠিক করতে সাহায্য করে। আর মধু আপনার ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে। এটি তৈলাক্ত ত্বকের উপযোগী।
অলিভ অয়েল ও কফির প্যাক শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের জন্য অনেক বেশি ফলপ্রসূ। ১ চাচামচ কফি পাউডার এবং ১ চাচামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এবার এটি মুখ এবং ঘাড়ে ব্যবহার করুন। ৫-১০ মিনিট পর হালকা শুকিয়ে আসলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
Advertisement
১ চা চামচ কফি পাউডার এবং ১ চা চামচ দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। প্যাকটি ম্যাসাজ করে মুখে লাগান। এটি মূলত ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করে থাকে। এটি সব ধরণের ত্বকের জন্য প্রযোজ্য।
এইচএন/আরআইপি