আইন-আদালত

মুফতি হান্নানের রায় কার্যকরে আইনি কোনো বাধা নেই

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার মামলায় জেলকোডসহ সব আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই হুজি নেতা মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।

Advertisement

অ্যাটর্নি জেনারেল আজ (রোববার) সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, মুফতি হান্নানসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ খারিজ করে দেয়ায় এখন দণ্ড কার্যকরে আইনগত কোনো বাধা নেই। তবে বিধি অনুযায়ী রায় ঘোষণার ৭ দিন পর এবং ২১ দিনের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক যেকোনো দিন ফাঁসি কার্যকর করতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। মুফতি আব্দুল হান্নান ছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন ও শরিফ শাহেদুল আলম।

তিন আসামির রিভিউ আবেদন শুনানি করে রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ তাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, গত দুইদিনে র‌্যাবের উপর হামলার প্রচেষ্টা সম্ভবত মুফতি হান্নানের রায়কে কেন্দ্র করেই ঘটেছে। এর আগে তাকে ছিনিয়ে নেয়ারও চেষ্টা করা হয়েছিল।

বিধি অনুযায়ী চূড়ান্ত বিচারেও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকায় নিয়ম অনুযায়ী তারা এখন কেবল নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন। প্রাণভিক্ষার আবেদনের নিষ্পত্তি হলেই সরকার কারাবিধি অনুযায়ী দণ্ড কার্যকর করতে পারবে।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে যান ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী। ফেরার পথে ফটকের কাছে গ্রেনেড হামলায় তিনিসহ বেশ কয়েকজন আহত হন, নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান, জঙ্গি শরিফ শাহেদুল ও দেলোয়ারকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

Advertisement

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন। ওই বছরের ৭ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির আপিল শুনানি শেষে আপিল খারিজ হয়ে যায়। গত ১৭ জানুয়ারি আপিল বিভাগের ৬৫ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।

এরপর চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মুফতি হান্নানসহ তিনজনের আইনজীবী ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান।

মুফতি হান্নানের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়। ২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনার সভামঞ্চের কাছে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখার ঘটনায় করা মামলারও আসামি মুফতি হান্নান।

এফএইচ/এমএমজেড/এমএস/জেআইএম