পোশাক খাতে সমান অধিকার নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সব দেশে অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের সমান প্রয়োগ থাকতে হবে।বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজিএমএ’র সম্মেলন কক্ষে নারী শ্রমিকের নবজাত শিশুদের পরিচর্যা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এ শিল্পের কর্মরত প্রসূতি মা`দের মাতৃদুগ্ধ পানে দক্ষতা বাড়াতে এক সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, বিশ্বের কোনো দেশে অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্স নেই। কিন্তু আমাদের দেশের পোশাক এবং অন্যান্য দেশের পোশাক একই দেশ কিনে নিচ্ছে। তাদের দেশে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স না থাকলেও তাদের পোশাক কিনছে। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে যত বাধা। আমাদের দেশে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স থাকার কারণে কারখানার খরচ বেড়ে যাচ্ছে। শুধু একটি ফায়ার ডোর লাগাতে খরচ হয় ১ লাখ টাকা। সব দেশে ঝুঁকি থাকলেও তাদের ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ হচ্ছে না।এত প্রতিকূলতা স্বত্বেও আশার কথা হচ্ছে বাংলাদেশ পোশাক শিল্প এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।অনুষ্ঠানে চুক্তি সই করেন- বিজিএমইএ, বিএসআরএম ফাউন্ডেশন, টিএএইচএন ফাউন্ডেশন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি। এর মধ্যে সবঝোতা স্বারকে সই করেন- বিজিএমইএ’র পক্ষে সহসভাপতি (অর্থ) রিয়াজ বিন মাহমুদ, বিএসআরম ফাউন্ডেশনের পক্ষে চেয়ারম্যান আলী হোসাঈন আকবর আলী, আইডিএলসি’র পক্ষে প্রধান নির্বাহী সেলিম আর এফ হোসাঈন, টিএইচএন ফাউন্ডেশনের পক্ষে ড. রোকসানা হায়দার।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সামাজিক দায়বদ্ধতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বিজিএমইএ পোশাক শিল্পের শ্রমিক ভাই-বোনদের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিজিএমইএ পোশাক শিল্পের নারী শ্রমিকদের মধ্যে নবজাত শিশুদের পরিচর্যা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এ শিল্পের কর্মরত প্রসূতি মাতারা যাতে দক্ষতার সাথে নবজাত সন্তানদেরকে মাতৃদুগ্ধ পান করাতে সমর্থ হন সে লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়।এসআই/আরএস/আরআই
Advertisement