জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর জীবনটাই ছিল মানুষের জন্য নিবেদিত

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষকে বঙ্গবন্ধুর মতো নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জাতির পিতার সম্পূর্ণ জীবনটাই ছিল বাংলার মানুষের জন্য নিবেদিত। তিনি চেয়েছিলেন বাংলাদেশ হবে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড। সাড়ে তিন বছরে প্রতিটি সেক্টরে যে পরিকল্পনা করেছিলাম সে অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। সরকারের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণ যদি নিবেদিত হয়ে কাজ করে তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করত পারব।

Advertisement

শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতার ৯৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং সহ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সভা পরিচালনা করেন। জাতির পিতার উপর কবিতা আবৃত্তি করেন আওয়ামী লীগ নেতা ও আবৃত্তিশিল্পী আহকাম উল্লাহ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা এবং পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নিহত তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ, জাতীয় চারনেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ১৯৬৬ সালে ৬ দফার পর কারাগারে থাকার সময় ডায়েরি আকারে লেখা জাতির পিতার ‘কারাগারের রোজ নামচা’ শীর্ষক আরেকটি আত্মজীবনী  গ্রন্থ প্রকাশের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বইটির নাম দিয়েছেন শেখ রেহানা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভাব নেই। পদ্মাসেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, রাজনীতি করি দেশের জনগণের জন্য, রাজনীতি করি পিতার আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য। জনগণের জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে যেখানে প্রস্তুত, সেখানে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ এনে ভয় দেখাবে, আমি তো ওরকম বাবার সন্তান না। আমি শেখ মুজিবের সন্তান।

উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন কানাডার সেই ফেডারেল কোর্ট বলে দিয়েছে বিশ্বব্যাংকের সব অভিযোগ মিথ্যা, ভুয়া, বানোয়াট। অন্তত বাংলাদেশের মানুষের সম্মান আমরা রেখেছি। তিনি বলেন, আমাদের সততার জোর আছে। সততার শক্তি আছে। সততা একজন রাজনীতিবিদের জন্য বড় শক্তি। যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন আমরা সততার সঙ্গে রাষ্ট্রপরিচালনা করছি বলেই আজকে বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌত্ব রক্ষায় যারা অতন্ত্র প্রহরী, বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী তাদের একটি স্বাধীন দেশের প্রতিরক্ষাবাহিনী হিসেবে আমরা গড়ে তুলেছি এবং জাতির পিতার ১৯৭৪ সালে প্রণীত  প্রতিরক্ষা নীতিমালার আওতায় আমরা ফোর্সেস গোল ২০৩০ গ্রহণ করে উন্নয়ন করে যাচ্ছি। পুলিশ বাহিনী, বর্ডার গার্ড, আনসার ও ভিডিপি র্যা বসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রত্যেকটি বাহিনীকে আমরা একটা স্বাধীন দেশের উপযুক্ত করে গড়ে তুলে দেশের মানুষকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের হাত থেকে মুক্ত করার পদক্ষেপ নিচ্ছি।

Advertisement

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোমেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মাওলানা খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও সাদেক খান। এফএইচএস/জেএইচ/ওআর/আরআইপি