বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপিতে সুবিধাভোগী নেতার সংখ্যা বেশি। বিপদের সময় দলের হাল ধরা লোকের সংখ্যা কম। কিন্তু আমরা দুর্ভাগা যে সুসময় আসলে ত্যাগী নেতাদের কথা ভুলে যাই। সুসময়ে যারা হাল ধরে তাদের আমরা বুঝি না।
Advertisement
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কচি কাঁচা মিলনায়তনে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশন এ স্মরণসভার আয়োজন করে। সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ১/১১ এর সময় দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে সে সময় খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার মুক্তি দাবি করা হয়েছিল, যা আওয়ামী লীগ নিজেও চাইতে পারেনি। বর্তমান সময়ে আমাদের যে রাজনৈতিক অবস্থা দেলোয়ার হোসেন থাকলে অনেক আগেই এ সমস্যা সমাধান করতেন।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে গয়েশ্বর বলেন, ভারতের সঙ্গে সামরিক এবং প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে মানুষের জানার অধিকার আছে। আপনারা ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন কিন্তু চুক্তি স্বাক্ষর করার আগে দেশের মানুষের মতামত নেয়া দরকার। না হলে দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি করলে জনগণ মেনে নেবে না। দেশের প্রতিরক্ষার বিষয়ে বিএনপির প্রতিটি কর্মীকে সৈনিকের ভূমিকা নিতে হবে।
বর্তমান সময়ের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ১/১১ সরকারের তাণ্ডব থেকে বর্তমান সরকারের তাণ্ডব কিন্তু কম নয়। আজকের সরকার গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না করেন। কিন্তু তারা গণতন্ত্রের বিকল্প হিসেবে উন্নয়নের কথা বলে। তারা এটা বোঝার চেষ্টা করে না যে গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন একইসূত্রে গাঁথা।
Advertisement
একই অনুষ্ঠানে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের স্মৃতিচারণ করে বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বিএনপির অন্য মহাসচিব থেকে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বেশি সম্মান এবং শ্রদ্ধা নিয়ে বিদায় নিয়েছিলেন। তার সারাটা জীবন রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ ছিল।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুকুমার বড়ুয়া, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক সিকদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আকবর হোসেন বাবলু এবং খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু প্রমুখ।
এমএম/জেএইচ/ওআর/জেআইএম
Advertisement