শ্রীলঙ্কার লিড ১৩৯ রান। চতুর্থ দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে তাদের রান দাঁড়িয়েছে ২৬৮। পঞ্চম দিন ব্যাট করতে নামবেন ১২৬ বল খেলে উইকেটে টিকে থাকা দিলরুয়ান পেরেরা এবং ১৬ রান করা সুরঙ্গা লাকমাল। এ দুই ব্যাটসম্যানকে যত দ্রুত সম্ভব আউট করতে পারলেই বাংলাদেশের সামনে জয়ের দরজা খুলে যাবে।
Advertisement
বাংলাদেশেরও লক্ষ্য যত দ্রুত সম্ভব শ্রীলঙ্কাকে অলআউট করে লক্ষ্যটা ছোট রেখে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ দলের উদীয়মান ব্যাটসম্যান অভিষিক্ত মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত সংবাদ সম্মেলনে জানান, তারা শ্রীলঙ্কাকে কোনোভাবেই ১৬০-এর বেশি লিড নেয়ার সুযোগ দিতে চান না।
১৬০ কিংবা তার আশপাশেও কোনো লক্ষ্য যদি বাংলাদেশের সামনে দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা, তাহলে অনায়াসেই জয় পেতে পারে টাইগাররা। কারণ, টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটিং গভীরতা অনেক বেশি। তার ওপর অভিষিক্ত মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত সেই গভীরতা বাড়িয়ে দিয়েছেন কয়েকগুণ। এত ছোট লক্ষ্য পুরো তিন সেশন না হোক আড়াই কিংবা দুই সেশনে অনায়াসে পার হওয়া সম্ভব বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের।
যদিও শ্রীলঙ্কান স্পিনারদের ঘূর্ণি অনেক কিছুই পাল্টে দিতে পারে। ম্যাচের চিত্র পুরোপুরি বদলে দেয়ার ক্ষমতা রাখেন তারা। চায়নাম্যান লক্ষ্মণ সান্দাকান একাই ম্যাচের চিত্র পাল্টে দিতে পারেন। সঙ্গে রঙ্গনা হেরাথ কিংবা দিলরুয়ান পেরেরা’রা তো আছেনই। সুতরাং বাংলাদেশকেও খুব সতর্কতার সঙ্গে ব্যাট করতে হবে।
Advertisement
এর আগে বাংলাদেশ টেস্টে মাত্র দু’বারই রান তাড়া করে জিতছে। একবার ২০০৯ সালের ২০ জুলাই, গ্রানাডায় সেন্ট জর্জে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২১৪ রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ। জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল ২১৫ রান। বাংলাদেশ করছে ২১৭। সাকিব ওই ম্যাচে ছিলেন ৯৬ রানে অপরাজিত।
এরপর আরেকবার রান তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ, ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর, মিরপুর শেরেবাংলায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। লক্ষ্য ছিল ১০১ রান। বাংলাদেশ জিততে হারিয়েছে ৭ উইকেটে। জিতেছে মাত্র ৩ উইকেটে। ওই ম্যাচে ১০১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে তামিম, শামসুর রহমান শুভ এবং মুমিনুল হক আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। এরপর মাহমুদউল্লাহ সর্বোচ্চ ২৮ এবং মুশফিক ২৩ রান করার কারণে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement