খেলাধুলা

বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে জয়ের সুবাতাস

চতুর্থ দিনের খেলা শেষ। এরপর আনুষ্ঠানিক প্রেস কনফারেন্স। সেটাও শেষ। আনুষ্ঠানিক প্রেস কনফারেন্সে কথা বলতে এসেছিলেন অভিষিক্ত মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। পি সারা ওভালের মূল গেটে বাংলাদেশ দলের টিম বাস রেডি মুশফিকদের নিয়ে যেতে। সহকারীরা বিভিন্ন সামগ্রী ওঠাচ্ছেন বাসে। নিরাপত্তা কর্মীরা চারদিকে কড়া বেষ্টনি গড়ে তুলেছেন; কিন্তু দেখা নেই বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের।

Advertisement

আনুষ্ঠানিক প্রেস কনফারেন্স শেষ হতে না হতেই মোসাদ্দেককে দ্রুত পা চালাতে তাগাদা দিলেন ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। তখনও বোঝা যায়নি, কী কারণে এমন তাড়াহুড়ো। পরে জানা গেল, টিম মিটিং হবে। এ কারণেই মোসাদ্দেককে নিয়ে প্রেস কনফারেন্স রুম থেকে দ্রুত পায়ে বেরিয়ে গেলেন ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন।

টিম বাস রেডি থাকা কিংবা নিরাপত্তা বেষ্টনি গড়ে রাখার পরও টিম বাংলাদেশের সদস্যদের দেখা না পাওয়ার কারণ, তারা টিম মিটিংয়ে ব্যস্ত। যে মিটিংটা হয়তো হতো টিম হোটেল; কিন্তু সেটা চতুর্থ দিনের শেষেই ড্রেসিং রুমে সারলেন ক্রিকেটাররা এবং টিম ম্যানেজমেন্ট। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলেছে টিম মিটিং। এরপরই ধীরে ধীরে ক্রিকেটারদের দেখা গেলো টিম বাসে গিয়ে উঠতে।

বাংলাদেশ দলের ড্রেসিং রুমে এখন বইছে জয়ের বাতাস। জয়ের সুঘ্রাণ এসে লাগছে মুশফিক-সাকিব-তামিম-মোস্তাফিজদের নাকে। টিম বাংলাদেশের এখন একটাই লক্ষ্য, শেষ দিন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শ্রীলংকাকে অলআউট করা এবং লক্ষ্যটা ১৬০ এর মধ্যে রাখা। চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত যে সুরে কথা বললেন, তাতে জয়ের আত্মবিশ্বাসই ফুটে উঠলো। টেস্ট বাঁচানো কিংবা ড্র করার কোনো চিন্তাই এখন মাথায় নেই মুশফিকদের। জয়ের দারুণ সুযোগ এখন তাদের সামনে।

Advertisement

চতুর্থ দিন শেষে শ্রীলঙ্কার লিড ১৩৯ রান। হাতে আছে আর মাত্র ২ উইকেট। পঞ্চম দিন সকাল সকাল এই দু’জনকে আউট করতে পারলেই বাংলাদেশের জয়ের দারুণ সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যাবে। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত জানিয়ে রাখলেন , ‘আমাদের লক্ষ্য সকাল সকাল শ্রীলঙ্কাকে অলআউট করা। আমাদের একটাই লক্ষ্য, যাতে লিডটা ১৬০-এর মধ্যে থাকে। এর বেশি যেন না হয়।’

প্রসঙ্গত বাংলাদেশ টেস্টে মাত্র দু’বারই রান তাড়া করে জিতছে। একবার ২০০৯ সালে, ২০ জুলাই, গ্রানাডায় সেন্ট জর্জে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২১৪ রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ। লক্ষ্য ছিল ২১৫ রান। বাংলাদেশ করছে ২১৭। সাকিব ছিলেন ৯৬ রানে অপরাজিত।

এরপর আরেকবার রান তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ, ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর, মিরপুর শেরেবাংলায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। লক্ষ্য ছিল ১০১। বাংলাদেশ জিতেছিল ৩ উইকেটে।

আইএইচএস/জেআইএম

Advertisement