লেনদেন খরার মধ্যে চলছে দেশের শেয়ারবাজার। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহের (১২-১৬ মার্চ) পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন কমেছে ১৮২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা অর্থাৎ ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ।লেনদেন কমলেও ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে এই সূচকটি বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট ৬৫ শতাংশ বা দশমিক ৫২ শতাংশ। ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৯ শতাংশ। তবে কমেছে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। এই সূচকটি ১ দশমিক ১০ পয়েন্ট বা দশমিক ০৮ শতাংশ কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১৬১টির দাম বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ১৪৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির। সপ্তাহটিতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ১৮৮ কোটি ২১ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৫ হাজার ৩৭০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহজুড়ে বাজারটিতে লেনদেন কমেছে ১৮২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। শেষ সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা তার আগের সপ্তাহে ছিল ১ হাজার ৭৪ কোটি ১২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৩৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বা ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯২ দশমিক ২৯ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এ ছাড়া বাকি ৩ দশমিক ২৯ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লংকাবাংলা ফিন্যান্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ২০৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ১১৭ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ।লেনদেনে এরপর রয়েছে, আইএফআইসি ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস, বারাকা পাওয়ার, সিটি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং অ্যাকটিভ ফাইন। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ১৮০ কোটি ২২ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৮ কোটি ৭ লাখ টাকা। এমএএস/জেএইচ/ওআর/আরআইপি
Advertisement