দেশ বরেণ্য চিত্রশিল্পী হাশেম খানের ৭৪তম জন্মদিন পালিত হচ্ছে। চিত্রকলার এই জীবন্ত কিংবদন্তি ১৯৪১ সালের ১৬ এপ্রিল চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। প্রকৃতিপ্রেমী এই শিল্পীর রং-তুলিতে বাংলাদেশকে খুঁজে পাওয়া যায়।চারুকলাকে সমৃদ্ধ ও পরিপুষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন হাশেম খান। তিনি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান গ্রন্থের অলঙ্করণের প্রধান শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন।হাশেম খানের পুরো নাম মোহাম্মদ আবুল হাশেম খান। তার বাবা মোহাম্মদ ইউসুফ খান ছিলেন তৎকালীন কুমিল্লা জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। মা নূরেন্নেসা খানম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৫৬ সাল থেকে চারুকলার প্রাতিষ্ঠানিক অনুশীলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন হাশেম খান। ১৯৬৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি চারুকলা ইন্সটিটিউটে অধ্যাপনা করেছেন।তিনি চাঁদপুরের হাসান আলী হাইস্কুল থেকে ১৯৫৬ সালে মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা সরকারি চারুকলা অনুষদে (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ)। ১৯৬১ সালে চারুকলায় প্রথম বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৬১ থেকে ’৬৩ সাল পর্যন্ত একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বৃত্তি নিয়ে সিরামিকের ওপর গবেষণা করেন। ১৯৭৯ সালে বইয়ের প্রচ্ছদ ও নকশার ওপর জাপানের টোকিওতে প্রশিক্ষণ নেন।বরেণ্য চিত্রশিল্পী হাশেম খান এ পর্যন্ত দেশ ও বিদেশে অসংখ্য একক ও দলবদ্ধ প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশ-বিদেশের অসংখ্য প্রশিক্ষণ কর্মশালায়।ব্যক্তিজীবনে তিনি পারভীন হাশেমকে বিয়ে করেছেন। তাদের সুখের সংসার আলোয় রঙিন করে রেখেছেন এক ছেলে শান্তনু খান ও এক মেয়ে কনক খান রিয়াজ।শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য অসংখ্য সম্মাননা ও স্বীকৃতি পেয়েছেন হাশেম খান। ১৯৯২ সালে পেয়েছেন একুশে পদক। স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ২০১১ সালে। সূত্র : অনলাইনএলএ/আরআই
Advertisement