দেশজুড়ে

ডাক্তার দেখানোর কথা বলে স্ত্রীকে নিয়ে যায় জঙ্গি কামাল

ডাক্তার দেখানো আর স্ত্রীর বড় ভাইকে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে গত রমজানে স্ত্রী, তার বড় ভাই এবং শ্যালিকাকে নিয়ে যায় জঙ্গি কামাল হোসেন। স্ত্রী জুবাইরা ইয়াসমিন, স্ত্রীর বড় ভাই জহিরুল এবং শ্যালিকা মনজিয়ারা পারভিন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীর যৌথখামার এলাকার বাসিন্দা। কামাল হোসেনও একই এলাকার বাসিন্দা।

Advertisement

জুবাইরার মা জান্নাত বলেন, গত রমজানে চট্টগ্রামে ভালো চিকিৎসক দেখাবে বলে জামাতা কামাল হোসেন অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে জুবাইরাকে নিয়ে যায়। কিছুদিন পরে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জুবাইরার বড় ভাই জহিরুল ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানাকে নিয়ে যায়। এর কিছু দিন পর জুবাইরার সন্তানকে দেখভাল করার জন্য শ্যালিকা মনজিয়ারা পাভিনকেও নিয়ে যায়।

জঙ্গি জুবাইরার বড় ভাই জিয়াবুল হক জানান, কামাল খুব ধার্মিক ছিল। তবে বিয়ের কাবিননামায় সে বিশ্বাস করত না। তাই আমি জুবাইরা আর কামালের বিয়ে মেনে নিতে পারিনি। বিয়ের বিষয়ে লোকজন জিজ্ঞাসা করবে বিধায় কাবিননামা না করে মাগরিবের পর আমার বোনকে নিয়ে যায়।

বাইশারি এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান আলম বলেন, বাইশারির করালিয়ামুরা এলাকার হাসান, জহিরুল হক এবং কামাল বন্ধু ছিল। তারা সারাদিন কাজকর্ম সেরে মাগরিবের পর হাসানের চালের দোকানে বৈঠক বসতে দেখা যেত।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, কামাল ও তার স্ত্রী খুবই ধার্মিক ছিল। তারা যে জঙ্গি হয়ে যাবে তা কখনও ভাবতে পারেনি।

নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারির কর্মকর্তা আবু মুসা বলেন, চারজনের জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে বলে কেউ কখনও থানায় অভিযোগ করেনি। এদের সঙ্গে আর কোনো পরিবার সম্পৃক্ত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ছায়ানীড়ের বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের সোয়াতের (স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকস) অভিযানের সময় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ও গুলিতে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গি।

সৈকত দাশ/এআরএ/জেআইএম

Advertisement