গত বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দলবদলের সবচেয়ে বড় চমক ছিল মাশরাফির শুরুর দিকে দল না পাওয়া এবং শেষ দিকে এসে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের হয়ে তার নাম লেখানো। প্রিমিয়ার লিগের খেলা শুরুর পর প্রথম দিকে টানা ম্যাচ হারের পর শেষ দিকে এসে কয়েকটি ম্যাচ জিতে ১২ পয়েন্ট নিতে পারলেও রান রেটের ব্যবধানে সুপার লিগের আগেই দৌড় শেষ করতে হয় মাশরাফির দলকে। সেই দলটিতে যে মাশরাফিছাড়া আর কোনো তারকাই ছিল না!এবার মাশরাফি বিন মর্তুজাকে দলে নিয়েছে লিজন্ডস অব রূপগঞ্জ। তার সঙ্গে রয়েছেন মুশফিকুর রহীমও। গতবার মুশফিক খেলেছিলেন মোহামেডানের হয়ে। মাশরাফির ছেড়ে যাওয়া কলাবাগান ক্রীড়াচক্রকে টেনে তোলার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুলকে। ২০১৩ সালে বিপিএল ফিক্সিং কাণ্ডে নিষিদ্ধ হওয়ার পর গত বছর সেপ্টেম্বরে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। এরপর শুধুমাত্র জাতীয় লিগের কয়েকটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ট এই সেঞ্চুরিয়ান; কিন্তু ক্রিকেটে দ্বিতীয় জন্মের পর নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি। সব সময়ই বলে আসছিলেন, প্রিমিয়ার লিগটার দিকে তাকিয়ে আছি। সেখানে খেলার সুযোগ পেলে হয়তো নিজেকে আবার প্রমাণ করতে পারবো।শেষ পর্যন্ত আশরাফুল দল পেলেন। তবে ঢাকার বড় কোনো ক্লাব না পেলেও কলাবাগান ক্রীড়াচক্র আস্থা রেখেছে আশরাফুলের ওপর। সর্বশেষ ২০১২-২০১৩ মৌসুমে তিনি খেলেছেন প্রাইম ব্যাংকের হয়ে। এরপর চার বছর পর আবারও ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট এই আসরটিতে আবারও ফিরছেন তিনি।আজ দলবদলের পর জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে আশরাফুল কলাবাগান ক্রীড়া চক্র নিয়ে নিজের লক্ষ্যের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘সবগুলো দলই তো আলাদা আলাদা লক্ষ্য নিয়ে খেলে। কারও লক্ষ্য থাকে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। কারও লক্ষ্য থাকে সুপার লিগে খেলা। চ্যাম্পিয়নশিপের মত এত উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য আমরা নির্ধারণ করবো না। আমাদের প্রথম লক্ষ্যই হবে সুপার লিগ।’নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে আশরাফুল বলেন, ‘এতদিন পর খেলতে এলাম। অবশ্যই চাইবো ভালো খেলতে। নিজের সর্বোচ্চ যতটুকু দিয়ে ভালো খেলা যায়, চেষ্টা করবো ততটুকু দিয়ে ভালো খেলতে। এ জন্য আমি সবার কাছে দোয়া প্রত্যাশী।’আশরাফুলের সঙ্গে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রে বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে খেলবেন জিম্বাবুয়ের হ্যামিল্টন মাসাকাদজা এবং দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে রয়েছেন জসিমউদ্দিন, তাসামুল হক, মেহরাব জুনিয়র (এ তিনজন গত বছরও কলাবাগানে ছিল ), তুষার ইমরান, নাবিল সামাদ, আবুল হাসান রাজু, মুক্তার আলি এবং অনুর্ধ্ব-১৯ দলের ৩-৪ জন।আরটি/আইএইচএস/পিআর
Advertisement