সমাধি ও প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল, মোনাজাত, প্রার্থনা, শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বইমেলা, স্বেচ্ছায় রক্তদান, বিনামূল্যে চিকিৎসা, পুরস্কার বিতরণ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিন।শুক্রবার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ভোর সাড়ে ৬টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের কর্মসূচি শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাতটায় ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতারের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ূয়া, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ভবন এলাকা ত্যাগ করার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সামাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন।এদিকে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশের সকল সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিশেষ সেবাদান কর্মসূচি পালন করা হয়। পাশাপাশি রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এ ছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শুক্রবার সকাল ১০টায় বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে কুরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।এ ছাড়া বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে এক বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়। প্রার্থনা সভায় বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা । এদিকে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল, সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সঙ্গীতানুষ্ঠান। এছাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদসহ আবাসিক হল, মসজিদ ও উপাসনালয়ে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়।এফএইচএস/আরএস/ওআর/পিআর
Advertisement