প্রবাস

মুম্বাই-আবুধাবি রুটে ইতিহাদ এয়ারওয়েজের প্লেন চলবে না

বলা যায় বিরাট প্রাসাদ। প্রাসাদই তো, ভাসমান অট্টালিকা। কী নেই সেখানে; বিলাসবহুল কক্ষ থেকে শুরু করে সব ধরনের অত্যাধুনিক ব্যবস্থাই রয়েছে। তবে যেভাবেই বলি না কেন, জাঁকজমকপূর্ণ ওই প্লেনের প্রশংসার যেন কমতিই হয়!বলছি সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক বিমান সংস্থা ইতিহাদ এয়ারওয়েজের এ-৩৮০ এয়ারবাসের কথা। যেখানকার সেবা যেকোনো পাঁচ তারকা হোটেলের সুযোগ-সুবিধাকেও হার মানায়। কিন্তু’ যাত্রীর অভাবে আবুধাবি থেকে মুম্বাই রুটে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারছে না সংস্থাটি। ইতিহাদ এয়ারওয়েজ বলছে, বিলাসবহুল এ প্লেনে ভ্রমণ ব্যয় বেশি হওয়ার কারণেই চাহিদা দিন দিন কমছে। টিকিট বিক্রির হারও একেবারেই কমে গেছে। তাই আবুধাবি-মুম্বাই রুটের এ প্লেন চলাচল করবে না।বছর তিনেক আগে এ-৩৮০ ও বি ৭৮৭-৯ নামে দু’টি বিলাসবহুল প্লেন কেনে ইতিহাদ এয়ারওয়েজ। এর মধ্যে এ-৩৮০ দিয়ে ২০১৬ সালের মে থেকে আবুধাবি-মুম্বাই রুটে যাত্রী পরিবহন করে। এ প্লেনে রয়েছে বিজনেস ক্লাস, তিন রুমবিশিষ্ট রেসিডেন্স ক্লাস এবং অ্যাপার্টমেন্ট ক্লাস। তিন কক্ষের রেসিডেন্স ক্লাস যেকোনো পাঁচ তারকা হোটেলের সুযোগ-সুবিধাকেও হার মানায়। কক্ষগুলোতে  রয়েছে ডবল বেডসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। বাথরুমে রয়েছে শাওয়ার ও বাথটব। প্রতি যাত্রীর জন্য সবসময়ই একজন খানসামা রয়েছে, যারা সবাই বিভিন্ন অ্যাকাডেমি থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এ ক্লাসে দু’জন যাত্রীর জন্য মুম্বাই থেকে আবুধাবির ভাড়া গুনতে হয় ৭ লাখের বেশি। আছে দু’টি ডেক। একটি প্রধান, যেখানে ইকনোমিক ক্লাসের সিট রয়েছে। আর অন্যটি আপার ডেক। এখানকার সব সিট প্রিমিয়াম ক্লাসের যাত্রীদের জন্যে। আর আপার ক্লাসে ৭০টি বিজনেস ক্লাস সিট, ৯টি অ্যাপার্টমেন্ট এবং তিনটি রেসিডেন্স রয়েছে। দুই কেবিনের মাঝে রয়েছে ড্রয়িং রুম। সেখানে আছে কারুকার্য  করা সুসজ্জিত সোফা, হাতির দাঁতের তৈরি টেবিল, বড় সাইজের টেলিভিশন।ভারতে বন্ধ ঘোষণা করলেও সম্প্রতি লন্ডন রুটে এ-৩৮০ এয়ারবাস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতিহাদ। এমনকি প্যারিস রুটেও যাত্রীদের বিলাসী সেবা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এমএমএ/ওআর/পিআর

Advertisement