হতে পারতো আরও অনেক বেশি। যদি মাথাটা আরেকটু ঠাণ্ডা করতে পারতেন সাকিব আল হাসান। দারুণ এক সেঞ্চুরির করুণ পরিণতি টেনেছেন অপ্রয়োজনীয় এক শটে। এরপর চেষ্টা করছিলেন মিরাজ। হেরাথের জাদুকরী এক বলে থামতে হয় তাকে। এরপর একাই দলকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা চালান অভিষেকে আলো ছড়ানো মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ পায় ১২৯ রানের লিড।আগের দিনের মতো এদিনও শেষ বিকেলের আক্ষেপ থেকেই গেল। শেষ আধা ঘণ্টার ঝড়েই অলআউট বাংলাদেশ। ৪৬৭ রানেই শেষ হয় টাইগারদের ইনিংস। শেষ দিকে ভাগ্য সহায়তা করে লঙ্কানদের। মোস্তাফিজের উইকেটটি তারা উপহার পায় আম্পায়ারের বদান্যতায়। ফলে শেষ উইকেট নিয়ে আক্রমণাত্মক খেলতে বাধ্য হন মোসাদ্দেক। তা না হলে কে জানে হয়তো অভিষেকে সেঞ্চুরি করার বিরল ক্লাবে যোগ দিতে পারতেন এ তরুণ।সকালে গুরুদায়িত্ব মাথায় নিয়ে সাকিবকে নিয়ে উইকেটে আসেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। এক প্রান্তে দারুণ দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন তিনি। ওয়ানডে স্টাইলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৭তম হাফ সেঞ্চুরি। ৮১ বলে ৬টি চারে ৫২ রান করে বোল্ড আউট হন তিনি। নতুন বল হাতে নিয়েই মুশফিককে পরাস্ত করেন সুরাঙ্গা লাকমল।হাফ সেঞ্চুরি তুলে মুশফিক বিদায় নিলেও একপ্রান্তে অবিচল ছিলেন সাকিব। লাকমলের বল ফাইন লেগে ঠেলে দিয়ে নিজের হাফ সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ৬৯ বলে। এরপর দিলরুয়ান পেরেরার বলে চার মেরেই নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত ১৫৯ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ১১৬ রান করেন তিনি। মোসাদ্দেকের সঙ্গে গড়েন ১৩১ রানের জুটি। মূলত এ জুটিতে ভর করেই লিড পায় বাংলাদেশ।সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ থাতে পারেননি সাকিব। উঠিয়ে মারতে গিয়ে আউট হন এ অলরাউন্ডার। সান্দাকানের বলে মিডঅনের উপর দিয়ে চার মারতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে ধরা পড়েন চান্দিমালের হাতে। দারুণ এক ক্যাচ লুফে নেন এ লঙ্কান। ফলে আরও একবার নিজের উইকেট বিলিয়ে আসেন সাকিব।সাকিবের বিদায়ের পর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মোসাদ্দেক। ৩৩ রানের ছোট একটি জুটিও গড়েন তারা। কিন্তু হঠাৎ করেই ঘূর্ণি জাদু দেখান হেরাথ। টানা ২টি উইকেট তুলে নেন তিনি। ফলে হঠাৎই বদলে যায় ম্যাচের পরিস্থিতি।হেরাথের করা ১২৯তম ওভারে প্রথম বলটি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে চেয়েছিলেন মিরাজ। তবে বল টার্ন করলে ব্যাটে লাগাতে ব্যর্থ হলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। ৫০ বলে ২৪ রান করেন তিনি। এর পরের বলটি অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরে থেকে টার্ন করে প্যাডে লাগলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান মোস্তাফিজ। যদিও টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল লেগ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরেই ছিল। রিভিউ না নেওয়ায় সাজঘরে ফেরেন তিনি।এরপর শুভাশিস রায়কে নিয়ে এক লড়াই চালানোর চেষ্টা করেন মোসাদ্দেক। তবে হেরাথের বলে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি। আউট হওয়ার আগে খেলেন ৭৫ রানের ইনিংস। ১৫৫ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। আর ৪৬৭ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন হেরাথ ও সান্দাকান। ২টি উইকেট পান লাকমল।আরটি/এনইউ/পিআর
Advertisement