ক্যাম্পাস

ছাত্রলীগের ইতিবাচক সংবাদ বর্জনের সিদ্ধান্ত ঢাবি সাংবাদিক সমিতির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের হামলায় বার্তা সংস্থা ইউএনবি’র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ইমরান হোসেন আহত হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ছাত্রলীগের সকল ইতিবাচক সংবাদ ও কর্মসূচি বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। হামলায় প্রত্যক্ষ নির্দেশদাতা বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফরহাদ উদ্দীনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ফররুখ মাহমুদের পরিচালনায় এক জরুীল সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের অর্ধশত কক্ষে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ছাত্রলীগ দলীয় নেতাকর্মীদের উঠিয়ে দেয়, প্রাধ্যক্ষের কার্যালয় ভাঙচুর করে, আবাসিক শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে এবং বেশকিছু আবাসিক শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করে। ওই রাতে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বার্তা সংস্থা ইউএনবি’র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ইমরান হোসেনের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালায় সংগঠনটির ১০-১৫ জন নেতাকর্মী। হামলায় সাংবাদিক ইমরান সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। হল ছাত্রলীগের সভাপতি ফকির রাসেল আহমেদ ও নয়ন হাওলাদারের নির্দেশেই এ হামলা হয়।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ১৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করার আহ্বান জানিয়ে ছাত্রলীগকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও ছাত্রলীগ ওই আহ্বানে সাড়া দেয়নি। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সাংবাদিক মারধরের ঘটনায়ও ছাত্রলীগ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এ ধরনের প্রতিটি ঘটনায় প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগ বানিয়ে ‘বহিষ্কার’ করে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে। এটি প্রকারান্তে অপরাধীদের প্রশ্রয় দেয়ার শামিল। ছাত্রলীগের এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি সর্বসম্মতিক্রমে ছাত্রলীগের সকল ইতিবাচক সংবাদ ও কর্মসূচি বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।সভায় সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা ঘটনায় জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারেরও দাবি জানান। পাশাপাশি গণতান্ত্রিক এ দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা বন্ধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। এ ধরনের ঘটনায় কোনো ধরনের শৈথিল্য প্রদর্শন সমগ্র দেশের জন্য নেতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে বলেও মত দেন তারা।এমএইচ/এআরএস/পিআর

Advertisement