ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ খাওয়ার পর শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ওষুধ প্রশাসনের দুই কর্মকর্তাকে কেন অপসারণ করা হবে না- তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানাতে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন আদালত।পাশাপাশি এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালককে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত আবেদন শুনানি করে হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তা হলেন ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম ও উপ-পরিচালক আলতাফ হোসেন। এর আগে ভেজাল প্যারাসিটামল খাওয়ায় শিশু মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায়ে ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অযোগ্যতা ও অদক্ষতার অভিযোগ আনা হয়। এ অবস্থায় তাদের দায়িত্ব পালনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।গত ৯ মার্চ প্যারাসিটামল সেবনে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রিড ফার্মাসিউটিক্যালসের মালিকসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশের কপি পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।গত বছরের ২৮ নভেম্বর ঢাকার ড্রাগ আদালতের বিচারক এম আতোয়ার রহমান রিড ফার্মার মালিকসহ পাঁচজনকে খালাস দিয়েছিলেন। তারা হলেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান, মিজানুর রহমানের স্ত্রী রিড ফার্মার পরিচালক শিউলি রহমান, পরিচালক আবদুল গনি, ফার্মাসিস্ট মাহবুবুল ইসলাম ও এনামুল হক।ওই রায়ের বিরুদ্ধে পাঁচজনের পর্যাপ্ত সাজা চেয়ে গত জানুয়ারিতে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।২০০৯ সালের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত রিড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ সেবন করে সারাদেশে ২৮ শিশু মারা যায়। ওই ঘটনায় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক মো. শফিকুল ইসলাম ঢাকার ড্রাগ আদালতে ওষুধ কোম্পানিটির মালিকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।এফএইচ/আরএস/এমএআর/আরআইপি
Advertisement